Advertisement
১৭ অক্টোবর ২০২৪
Jadavpur University

ধর্না শুরু হচ্ছে যাদবপুরেও! আরজি করের প্রতিবাদ, র‌্যাগিংকাণ্ডের বিচার-সহ সাত দফা দাবিতে কর্মসূচি

আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা, ২০২৩ সালে র‌্যাগিংকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার বিচার-সহ সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসছেন প্রতিবাদীরা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘জেইউ ফর জাস্টিস’।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘জেইউ ফর জাস্টিস’। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৫৪
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু হচ্ছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা, ২০২৩ সালে র‌্যাগিংকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার বিচার-সহ মোট সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসছেন প্রতিবাদীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, স্কলার, গবেষক, অধ্যাপক, প্রাক্তনী এবং কর্মচারীরা এই প্রতিবাদে শামিল হবেন। গঠন করা হয়েছে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম— ‘জেইউ ফর জাস্টিস’। সাধারণ মানুষকেও প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংগঠনটি আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলিকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন জানিয়েছে। তাদের তরফে বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে সরকার এবং পুলিশ। আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘অভয়া পরিক্রমা’ নামক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে যাদবপুরের পাঁচ ছাত্র গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযোগ, অন্যায় ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গা সৃষ্টি করা’র মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সকলের রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এই গ্রেফতার, প্রশ্ন তুলেছে ‘জেইউ ফর জাস্টিস’।

যে সাত দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন সংগঠনের সদস্যেরা ধর্নায় বসছেন, সেগুলি হল—

  • আরজি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা যে দাবি জানিয়েছেন, যাদবপুর তার পাশে রয়েছে। অবিলম্বে সেই দাবিগুলি পূরণ করতে হবে।
  • ‘অভয়া পরিক্রমা’র সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, অবিলম্বে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
  • অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
  • র‌্যাগিংকাণ্ডে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল, তা জানতেও তদন্ত করতে হবে।
  • যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে লিঙ্গ সংবেদনশীল কমিটি (জিএসসিএএসএইচ) গঠন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) পুনর্গঠন করতে হবে। সেখানে যে অভিযোগগুলি ঝুলে রয়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে।
  • অ্যাকাডেমিক এবং নন-অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে সম্প্রতি যত পারিশ্রমিক বৃদ্ধি হয়েছে, তা কমিয়ে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিশ্রমিকের কাঠামো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
  • ‘থ্রেট কালচার’ বা ভয় দেখানোর রাজনীতি শুধু যাদবপুর নয়, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বর্জন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনে ধর্নায় বসবেন ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, প্রাক্তনীরা। যত দিন না দাবিগুলি পূরণ হচ্ছে, ধর্না চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ‘জেইউ ফর জাস্টিস’।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE