আসফাকুল্লা নাইয়া। — ফাইল চিত্র।
নিয়ম ভেঙে প্রাইভেটে রোগী দেখেছেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া। এই অভিযোগ জানিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ইমেল পাঠাল পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (জেডিএ)। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও তুলল তারা। জেডিএ-র আরও দাবি, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে যখন কর্মবিরতির কর্মসূচি করছিল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (জেডিএফ), তখন সেই সংগঠনের সদস্য হয়ে সিঙ্গুরে প্রাইভেটে রোগী দেখেছিলেন আসফাকুল্লা। যদিও আসফাকুল্লা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তিনি ফি নিয়ে রোগী দেখেননি। একটি ক্যাম্পে গিয়ে রোগী দেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সংগঠন জেডিএ মুখ্যসচিবকে ইমেলে লিখেছে, আসফাকুল্লা এখন আরজি করের ইএনটি বিভাগের পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি)। তাঁর প্রশিক্ষণ এখনও শেষ হয়নি। তা সত্ত্বেও নিজেকে ‘এমএস (ইএনটি)’ বলে দাবি করেছেন। তাঁর এই ‘মিথ্যা’ দাবি মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছে। এর ফলে যে রোগীরা তাঁকে বিশ্বাস করেছেন, তাঁদের জীবন ঝুঁকির মুখেও পড়তে পারত বলে দাবি জেডিএ-র। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, সিঙ্গুরে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত রোগী দেখতেন আসফাকুল্লা। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো মুখ্যসচিবকে ইমেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি জেডিএ-র। তাদের আরও দাবি, এক-দু’মাস আগে পর্যন্ত এই কাজ করে গিয়েছেন তিনি। জেডিএর অভিযোগ, যখন আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ওই হাসপাতালে কাজে যোগ দেননি আসফাকুল্লা, তখনও তিনি প্রাইভেটে রোগী দেখেছেন। এমনকি, কলকাতায়ও প্রাইভেটে রোগী দেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন জেডিএর সদস্যেরা।
আসফাকুল্লা যদিও এই অভিযোগ মানেননি। তিনি জানিয়েছেন, সিঙ্গুরে একটি শিবিরে গিয়ে এক-দু’বার রোগী দেখেছিলেন। সেটা ২০২২ সালে। তবে তার বিনিময়ে কোনও টাকা নেননি। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও পিজিটি দিনের বেলা হাসপাতাল থেকে বার হতে পারেন না। সেটা সম্ভবও নয়। ওখানে খোঁজ নিলে বুঝবেন।’’ তা হলে কি তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে? আসফাকুল্লা বলেন, ‘‘আমি, অনিকেতদা (অনিকেত মাহাতো), কিঞ্জলদা (কিঞ্জল নন্দ) টার্গেট হব না তো, কে হবে? আমরা আন্দোলন করছি। শাসকদলের বিরোধিতার জায়গা তৈরি হচ্ছে।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘রোগী আমি দেখি। বাড়িতে দেখি, ফেসবুকে দেখি। মানুষের উপকার করি। তবে সিঙ্গুরের ওটা ফ্রি ক্যাম্প ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy