Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
State news

জেলার বাজিমাত উচ্চমাধ্যমিকেও, প্রথম গ্রন্থন, দ্বিতীয় ঋত্বিক

মোট পাশের হার ৮৩.৭৫। পূূর্ব মেদিনীপুর ও কালিম্পঙে পাশের হার সবচেয়ে বেশি। ৬ লক্ষ ৬৩ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন এ বার।

গ্রন্থন সেনগুপ্ত (প্রথম) ও ঋত্বিক সাহু (দ্বিতীয়)। ছবি: ফেসবুক ও নিজস্ব চিত্র।

গ্রন্থন সেনগুপ্ত (প্রথম) ও ঋত্বিক সাহু (দ্বিতীয়)। ছবি: ফেসবুক ও নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮ ০৬:০০
Share: Save:

মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও জেলার ছেলেমেয়েদের জয়জয়কার। এবং মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও এ বার প্রথম স্থান দখল করল উত্তরবঙ্গ। মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল কোচবিহারের মেয়ে। উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম জলপাইগুড়ির ছেলে গ্রন্থন সেনগুপ্ত। গ্রন্থন কলা বিভাগের ছাত্র। ৫০০-র মধ্যে পেয়েছে ৪৯৬।

এ বার পাশের হার ৮৩.৭৫ শতাংশ। মেধা তালিকায় প্রথম ১০-এ আছেন ৮০ জন ছাত্রছাত্রী।

মেধা তালিকায় সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী হুগলি জেলার। ৮০ জনের মধ্যে ১৩ জন হুগলির। বাঁকুড়ার ১০ জন, কলকাতার ৯ জন মেধা তালিকায় আছেন।

দেখে নিন সম্পূর্ণ মেধা তালিকা:

প্রথম গ্রন্থন সেনগুপ্ত। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্র গ্রন্থনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ (৯৯.২ শতাংশ)।

দ্বিতীয় হয়েছেন ঋত্বিক কুমার সাহু। তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ঋত্বিকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)।

তৃতীয় হয়েছেন দু’জন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০ (৯৮ শতাংশ)। তিমিরবরণ দাস ও শাশ্বত রায়। তিমির বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র। শাশ্বত রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন ( পশ্চিম মেদিনীপুর)-এর ছাত্র।

বাঁ দিক থেকে অভ্রদীপ্তা ঘোষ (পঞ্চম), তিমিরবরণ দাস (তৃতীয়), অনুভব চক্রবর্তী (পঞ্চম), জয়দীপ ভৌমিক (চতুর্থ)

চতুর্থ হয়েছেন ছয় জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭ (৯৭.৪ শতাংশ)। জয়দীপ ভৌমিক (মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুল, কোচবিহার), অন্বয় চট্টোপাধ্যায় (মধুবন গোয়েন্‌কা বিদ্যালয়, বাঁকুড়া), সৌরদীপ নাথ (উত্তরপাড়া মডেল স্কুল, হুগলি), সায়ন দাস (ইসলামপুর হাই স্কুল, উত্তর দিনাজপুর), অর্কদীপ গুঁই (বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল), দিব্যদূত শাসমল (সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুল, হুগলি)।

বাঁ দিক থেকে দীপ্তম জানা (নবম), মহম্মদ শরিফুল ইসলাম (পঞ্চম), অর্কদীপ গুঁই (পঞ্চম), রোহিত বেরা (দশম)

দেখুন ভিডিয়ো

পঞ্চম স্থানে আছেন ১২ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬ (৯৭.২ শতাংশ)। অভ্রদীপ্তা ঘোষ (যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, কলকাতা), অনিমা গড়াই (রবীন্দ্র হাই স্কুল,বাঁকুড়া), আর্য সামন্ত (রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাবব, পশ্চিম মেদিনীপুর), মহম্মদ শরিফুল ইসলাম (পাণ্ডুয়া শশীভূষণ সাহা হাই স্কুল, হুগলি), সুতনয় ভট্টাচার্য (বিষ্ণুপুর হাই স্কুল, বাঁকুড়া), শুভাশিস ঘোষ (বহরমপুর জে এন অ্যাকাডেমি, মুর্শিদাবাদ), রমিক দত্ত (দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ, বীরভূম), অনিরুদ্ধ দত্ত (স্প্রিংডেল হাই স্কুল, নদিয়া), অনুভব চক্রবর্তী (পুরুলিয়া জেলা স্কুল), শৌভিক রাজ মাইতি (কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর), অরিত্র রায় (পাথফাইন্ডার এইচ এস পাবলিক স্কুল, কলকাতা), বিশাল গঙ্গোপাধ্যায় (ওন্দা হাই স্কুল বাঁকুড়া)।

বাঁ দিক থেকে নয়নিকা রায় (ষষ্ঠ), আর্য সামন্ত (পঞ্চম), দেবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় (ষষ্ঠ), সায়ন কর্মকার (দশম)

ষষ্ঠ হয়েছেন ১০ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৫ (৯৭ শতাংশ)। তন্নিষ্ঠা মণ্ডল (পাঠ ভবন, কলকাতা), মধুরিমা মুখোপাধ্যায় (উত্তরপাড়া গার্লস হাই স্কুল, হুগলি), নয়নিকা রায় (বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর), সাগ্নিক তালুকদার (নব নালন্দা হাইস্কুল, কলকাতা), কিশলয় সরকার (চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমি, নদিয়া), দেবদত্তা পাল (বিনোদিনী গার্লস হাই স্কুল, হুগলি), সপ্তর্ষি মণ্ডল (ঝিকরা হাই স্কুল, হাওড়া), দেবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় (কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশন, পূর্ব বর্ধমান), নীলমাধব দত্ত (বিষ্ণুপুর হাই স্কুল, বাঁকুড়া), কুন্তল বীট (আরামবাগ হাই স্কুল, হুগলি)।

বাঁ দিক থেকে রমিক দত্ত (পঞ্চম), দিব্যদূত শাসমল (চতুর্থ), শাশ্বত রায় (তৃতীয়), অর্পণ দ্বিবেদী (নবম)

সপ্তম হয়েছেন পাঁচ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৪ (৯৬.৮ শতাংশ)। দিশা ঘোষ (বেথুন কলেজিয়েট স্কুল, কলকাতা), ঋতিকা কাঞ্জিলাল (শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুল), রিদম কুমার দাস (কামাখ্যাগুড়ি হাই স্কুল, আলিপুরদুয়ার), অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায় (সারেঙ্গা মহাত্মাজি স্মৃতি বিদ্যাপীঠ, বাঁকুড়া), গার্গী চট্টোপাধ্যায় (সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুল, হুগলি)।

বাঁ দিক থেকে নীলমাধব দত্ত (ষষ্ঠ), শৌভিক রাজ মাইতি (পঞ্চম), জিষ্ণু বিশ্বাস (অষ্টম), সুতনয় ভট্টাচার্য (পঞ্চম)

অষ্টম হয়েছেন ১৬ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩ (৯৬.৬ শতাংশ)। জিষ্ণু বিশ্বাস (কৃষ্ণনগর কেলজিয়েট স্কুল, নদিয়া), রাজশেথর চট্টোপাধ্যায় (ইছাপুর হাই স্কুল, হুগলি), রৌনক পাত্র (বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়), বিশ্বজিত্ দত্ত (কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠ, উত্তর ২৪ পরগনা, বিশ্বজিত্ বাণিজ্য বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন), দেবজিত্ দে (বীরা বল্লভপাড়া হাইস্কুল, উত্তর ২৪ পরগনা), অর্ঘ্য দে (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা), দেবশুভ্র চক্রবর্তী (কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল, মুর্শিদাবাদ), অনীশা মণ্ডল (কোটাশূর হাই স্কুল, বীরভূম), সায়ন্তন চক্রবর্তী (বর্ধমান টাউন স্কুল), অনন্যা ঘোষ (কাঁচরাপাড়া ইন্ডিয়ান গার্লস হাই স্কুল, উত্তর ২৪ পরগনা), শ্রেয়াংশ চট্টোপাধ্যায়(নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা), কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু (রামসাগর হাই স্কুল, বাঁকুড়া)।

বাঁ দিক থেকে দেবশুভ্র চক্রবর্তী (অষ্টম), রূপম পাল (দশম), অনীশা মণ্ডল (অষ্টম), জাহ্নবী পাল (নবম)

নবম স্থানে আছেন ১৫ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২ (৯৬.৪ শতাংশ)। শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় (বিদ্যা ভারতী গার্লস হাই স্কুল, কলকাতা), বিকাশ রাজপাল (উত্তরপাড়া গভঃ হাই স্কুল, হুগলি), প্রত্যুষা সাহা (বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর), নিশা যাদব (অন্ধ্র অ্যাসোসিয়েশন হাই স্কুল, কলকাতা), দীপ্তম জানা (ইন্দা কৃষ্ণলাল শিক্ষা নিকেতন, পশ্চিম মেদিনীপুর), শৌভিক চন্দ্র (আরামবাগ হাই স্কুল, হুগলি), অনুশ্রী মজুমদার (স্প্রিংডেল হাই স্কুল, নদিয়া), সুরজিত্ মাতব্বর (কালনা অম্বিকা মহিষ মর্দিনী হাই স্কুল, পূর্ব বর্ধমান), আফরোজা বানু (সুখানি ভোলাপাড়া হাই মাদ্রাসা, জলপাইগুড়ি), সৌমেন মাজি (দেমারি হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর), অভীক ঘোষ (বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল), সরফরাজ আলম (শীতলকুচি হাই স্কুল, কোচবিহার), সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (দ্বারহট্ট রাজেশ্বরী ইনস্টিটিউশন, হুগলি), জাহ্নবী পাল (মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুল, কোচবিহার), অর্পণ দ্বিবেদী (ঝাড়গ্রাম কে কে ইনস্টিটিউশন)

বাঁ দিক থেকে অন্বয় চট্টোপাধ্যায় (চতুর্থ), অনিমা গড়াই (পঞ্চম), তন্ময় পতি (দশম), মহম্মদ চন্দন আলি (দশম)

দশম স্থানে আছেন ১৬ জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮১ (৯৬.২ শতাংশ)। তীর্থশঙ্খ বাছার (নব নালন্দা হাই স্কুল, কলকাতা), শ্রাবণী দত্ত (জাঙ্গিপাড়া বালিকা বিদ্যালয়, হুগলি), জয়েশ সাউ (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা), সায়নী দত্ত (পাথফাইন্ডার এইচ এস পাবলিক স্কুল, কলকাতা), অর্ণব কুমার মল্লিক (পোড়াবাজার আর ডি এম ইউ বিদ্যালয়, হুগলি), রিক্ত বর্মন (পাতাকামারি রাজেন্দ্রনাথ হাই স্কুল, কোচবিহার), সমীধ ঘোষ (কেষ্টপুর হাই স্কুল, বাঁকুড়া), মহম্মদ চন্দন আলি (রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যা ভবন, বীরভূম), তন্ময় পতি (সিমলাপাল মদনমোহন হাই স্কুল, বাঁকুড়া), অনুকূল বর্মন (সাহেবগঞ্জ হাই স্কুল, কোচবিহার), রূপম পাল (রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল, উত্তর দিনাজপুর), মেহেদ উজ-জামান (জেনকিন্স স্কুল, কোচবিহার), রোহিত বেরা (তমলুক হ্যামিলটন হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর), অমৃতাংশু মাহিশ (মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল, পশ্চিম মেদিনীপুর), সায়ন কর্মকার (রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যা ভবন, বীরভূম), নন্দিতা বর্মন (গোসাইরহাট হাই স্কুল, কোচবিহার)

এ বছর ২৭ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। চলে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। রাজ্যে মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২০৮৫টি। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ২৯ জন। এ বছরই প্রথম হিন্দিতে প্রশ্নপত্র করেছে সংসদ। হিন্দি, উর্দু, সাঁওতালি ও নেপালি ভাষার পরীক্ষার্থীদের জন্য দোভাষী রাখার সিদ্ধান্ত হয়। শংসাপত্রে প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের উল্লেখও থাকবে।

এ বছর ছাত্রীদের পাশের হার ছাত্রদের তুলনায় বেশি।

ফল জানা যাচ্ছে এই সব ওয়াবসাইটে:

http://wbresults.nic.in, www.exametc.com, www.indiaresults.com, www.schools9.com, www.results.shiksha, www.westbengal.shiksha, www.westbengalonline.in, www.knowyourresult.com, www.school.gradeup.co, www.wbbse.org।

এসএমএসে ফল জানতে হলে বড় হাতের WB12 লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর উল্লেখ করে পাঠাতে হবে 5676750 এবং 58888 নম্বরে। www.exametc.com সাইটে আগে থেকে রোল ও মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করা থাকলে এসএমএসে ফল জানানো হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE