ছবি: সংগৃহীত।
জমি সমস্যা মিটিয়ে এ বার রাজ্যে গতি পাচ্ছে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ।
কঠিন বর্জ্য কী ভাবে সামলাতে হবে, গোটা দেশে এক লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যার পুরসভাকে ২০১৯ সালের এপ্রিলে সেই নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতের প্রধান বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কাজ শুরুর চেষ্টা হয়েছিল এ রাজ্যেও। কিন্তু জমির সমস্যা আর বিভিন্ন পুরসভার ‘গা-ছাড়া’ মনোভাবের কারণে তা গতি পায়নি। কঠিন বর্জ্যের সমস্যা সামলাতে রাজ্য কী করছে, তার জবাবদিহি করতে মুখ্য সচিবকে দিল্লি যেতে হয়েছিল। জাতীয় পরিবেশ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলা ফের সেপ্টেম্বরে ওঠার কথা।
এ বার সে সব কাটিয়ে ৩৩টি পুরসভায় প্রায় ৩৭০ কোটি টাকার প্রকল্পের দরপত্র চেয়েছে নগরোন্নয়ন দফতর। বরাত পাওয়ার পরে দৈনিক কঠিন বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুরসভার সঙ্গে বসবে সংস্থা। আরও ৩০টি পুরসভায় দরপত্র আহ্বানের কাজ মাসখানেকের মধ্যে হবে বলে দফতর সূত্রে খবর। নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করছে রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা (সুডা)। সব মিলিয়ে ৮০টি পুরসভায় এই কাজ গতি পাচ্ছে।
চারটি ক্লাস্টারের ১৯টি পুরসভায় ইতিমধ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে অর্থ দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে। প্রমোদনগর ক্লাস্টারে ১০২০ কোটি টাকার প্রকল্প হবে বলে খবর। এর জন্য অগস্ট মাসে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’দেওয়ার কথা। এ ছাড়া রয়েছে বিধাননগর এবং কলকাতার ২৩টি ওয়ার্ড-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে তৈরি মোল্লারভেড়ি ক্লাস্টার, আটটি পুরসভা নিয়ে বৈদ্যবাটি ক্লাস্টার এবং হাবরা-অশোকনগর ও গোবরডাঙা নিয়ে গঠিত ক্লাস্টার। সব ক্ষেত্রেই জমির বন্দোবস্ত করেছে পুরসভা।
কী করবে সংস্থাগুলি?
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মূলত পৃথকীকরণের পরে জৈব-পচনশীল সামগ্রী সংশ্লিষ্ট জায়গাতে নিয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পচিয়ে ফেলা হবে। অপচনশীল বর্জ্য থেকে যেগুলি পুনর্ব্যবহার করা যাবে, সেগুলি আলাদা করে বাকিটা গর্তে ফেলে (স্যানিটারি ল্যান্ড ফিলিং) দেওয়ার দরপত্র আহ্বান করেছে সুডা।
এই দরপত্রের প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে দিল্লি, মুম্বই, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। করোনা পরিস্থিতিতে দরপত্র সংক্রান্ত বৈঠক হচ্ছে জুম অ্যাপে। তবে বরাদ্দ জমি সরাসরি দেখতে না-পাওয়া নিয়ে সংস্থাগুলির খেদ রয়েছে। প্রয়োজনে সে ক্ষেত্রে জুম অ্যাপের মাধ্যমে জমি দেখাতে পারে দফতর।
বিভিন্ন জায়গায় কোনও বড় মাপের খোলা জমিতে ভাগাড় তৈরি করে সব বর্জ্য জড়ো করা হয়। যা অবৈজ্ঞানিক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বর্জ্য স্তূপ হয়ে পাহাড়ের মতো হয়েছে। এই স্তূপ সরানোর জন্য ৬৯টি পুরসভাকে ২৯টি ক্লাস্টারে ভাগ করে দরপত্র চেয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটান উন্নয়ন সংস্থা (কেএমডিএ)। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সেই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটেছে। ফলে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করতে চলেছে কেএমডিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy