বিজেপি নেতাদের বিক্ষোভ। ছবি: মাসুম আখতার
নিজস্ব সংবাদদাতা
পরিবর্তন যাত্রার রথ আটকে দিল পুলিশ। প্রতিবাদে বিজেপি নেতারা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন। পরে পুলিশ রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেও তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির উপক্রম হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
আজ, বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা জেপি নড্ডার একাধিক কর্মসূচি আছে ব্যারাকপুরে। রথযাত্রায় সামিল হওয়ার কথা তাঁরও। তার আগে বুধবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়াল কাঁচরাপাড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রথ আটকেছে পুলিশ। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভয় পেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’
কী হয়েছিল বুধবার?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’র রথ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাঁপা মোড় থেকে কাঁচরাপাড়া ঢোকার মুখে আটকে দেয় পুলিশ। তাদের বক্তব্য, কাঁপামোড় পর্যন্তই রথযাত্রার অনুমতি ছিল। সে কথা মানতে রাজি হননি বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। খবর পেয়ে কৈলাস এলাকায় যান। সঙ্গে ছিলেন বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহরা। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কৈলাস হুমকি দেন, রথ আটকালে তাঁরা মিছিল করে কাঁচরাপাড়ায় যাবেন।
পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কির পরে এক সময়ে অনুমতি মেলে। ‘পরিবর্তন রথ’ কাঁচরাপাড়ার পথে ঢোকে। এ দিকে, ততক্ষণে সেখানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল বিশাল বক্স লাগিয়ে চলছে তৃণমূলের স্লোগান। জমায়েত থেকে ‘খেলা হবে’ ধ্বনি তুলে এলাকা সরগরম করে রেখেছেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপিও পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে থাকে। দু’পক্ষের হাতাহাতির উপক্রম হয়। কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে রথকে পথ করে দেয় পুলিশ।
তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। রথযাত্রাকে বাধা দেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy