উল্লাস: উপাচার্যের পদত্যাগের পর পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এ বার যুব তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে টিএমসিপি। সেই দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে বুধবার ইস্তফা দিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র। এ দিন তিনি উচ্চশিক্ষা সচিবকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছিল যুব তৃণমূল। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন আধিকারিক রাজীব পুততুন্ডকে ঘিরে তখন অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে একদল পড়ুয়া। রাত ১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে রাজীববাবুকে উদ্ধার করে। তবে বুধবার রাজীববাবু হাজির হলে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলে আন্দোলন। তার পরেই পাল্টা আন্দোলনে নামে টিএমসিপি। তারা দাবি করতে থাকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। উপাচার্যের কুৎসার বিরোধিতা করতে থাকে তারা। শাসক দলের এই দুই গোষ্ঠীর আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিকেলে আন্দোলন চলার সময় উপাচার্য সরাসরিই বলেন, ‘‘কিছু নেতা, অধ্যাপক আড়াল থেকে মদত দিয়ে পড়ুয়াদের উস্কে দিচ্ছেন।’’ শাসক দলের একটি অংশ তাঁর পাশে না দাঁড়ানোয় উপাচার্য ঘনিষ্ঠ মহলে হতাশাও প্রকাশ করেন। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি ঘটনার কথা জানেন না। তবে প্রয়োজনে শিক্ষাসচিবকে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে বলবেন বলে জানিয়েছিলেন। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই গোপালবাবু ইস্তফা দিয়ে দেন। তার পরে পার্থবাবুকে ফোনে ধরা যায়নি। তবে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘উপাচার্যকে সব সময়ই সহযোগিতা করা হয়েছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলছে তা-ও ঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy