Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
University of Calcutta

পরীক্ষার ধন্দ কাটাতে কাল বৈঠকে উপাচার্য

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে  স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টার ও চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ডিজিটাল মাধ্যমে হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:১১
Share: Save:

চূড়ান্ত বর্ষ এবং চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামিকাল, বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হওয়ার কথা। অধ্যক্ষদের একাংশ জানান, পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। বৈঠকের পরে তা স্পষ্ট হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টার ও চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ডিজিটাল মাধ্যমে হবে। প্রশ্নপত্র পেয়ে বাড়িতে বসে খাতায় উত্তর লিখে সেই উত্তরপত্র স্ক্যান করে জমা দেওয়ার জন্য মিলবে ২৪ ঘণ্টা সময়। কলেজ প্রশ্ন পাবে অনলাইনে। কলেজই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তা বণ্টন করবে। ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে অর্থাৎ ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্যান-করা উত্তরপত্র জমা দিতে পারবেন। যে-সব ছাত্রছাত্রী তা একেবারেই পারবেন না, তাঁরা কলেজে গিয়ে পরীক্ষার খাতা জমা দেবেন। মূল্যায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার কলেজের শিক্ষকেরাই। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ফল বেরোবে।

বাড়িতে বসে ২৪ ঘন্টা ধরে পরীক্ষা দিলে অন্যের সাহায্য যে পরীক্ষার্থীরা নেবেন না, সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা কোথায়, সেই প্রশ্ন আগেই অধ্যক্ষেরা তুলেছিলেন। এবার তাঁদের প্রশ্ন, ইন্টারনেট সংযোগ যদি কোনও পড়ুয়ার না-থাকে, তাঁকে কী ভাবে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে? ছাত্রছাত্রীরা কলেজের গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবেই বা তাঁরা প্রয়োজনীয় বই এবং নোটস কাছে পাবে। অনেকেই বলছেন, বহু কলেজে একাধিক বিষয়ে ২০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী আছেন। তাঁরা গড়ে যদি ২০ পৃষ্ঠা করেও লেখেন, তা প্রথমে স্ক্যান এবং তার পরে ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। এত উত্তরপত্র অ্যাটাচমেন্ট করে ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপ করলে তা ঠিকভাবে নাও পৌঁছতে পারে।

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় দিন বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে এ রকম ভাবে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়া অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের বিপদের মুখে ফেললেন।’’ নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে জমা দেওয়া সহজতর হতে পারে। তবে সব সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে সুর্নির্দিষ্ট পথনির্দেশ মিলবে বলে আশা করছি।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১ থেকে ৮ অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা হবে। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে মূল্যায়ন রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা-র সহ-সভাপতি প্রবোধ মিশ্রের বক্তব্য, এত খাতার যদি প্রিন্ট আউট না-মিললে অল্প সময়ে খাতা দেখা অসম্ভব।

অধ্যক্ষদের একাংশ বলছেন, স্নাতক স্তরের বাণিজ্যশাখার পঠনপাঠন সিবিসিএস পদ্ধতিতে হয়। এক্ষেত্রে সিমেস্টার শুরুর পরে বড়জোর সাড়ে তিন সপ্তাহ ক্লাস হয়েছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নপত্র তৈরির আগে কলেজগুলির সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ়ের কাউন্সিল প্রতিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের পাঠ্যক্রম এ বছর কতটা পড়ানো যাবে সেই বিষয়ে কলেজগুলির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

University of Calcutta Exam Supreme Court of India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy