রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন-পর্বে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল জাতীয় তফসিলি কমিশন (এনসিএসসি বা এসসি কমিশন)। আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এসসি কমিশনে কিছু না জানানো হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে দিল্লিতে তলব করা হবে। বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনে এই কথা জানিয়েছেন এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে কোনও জবাব না পেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে দিল্লিতে এসসি কমিশনের দফতরে তলব করা হবে।’’
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শেষবেলাতেও রক্ত ঝরেছে। এই আবহে রাজ্যের তফসিলি জাতির মানুষদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন, ‘‘গত দেড় মাসে পশ্চিমবঙ্গে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত ৬ জনকে খুন/ ধর্ষণ করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ক’দিন বাদে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। যার ফলে রাজ্যের তফসিলি জাতিভুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পান।’’
প্রতিটি ঘটনায় নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। ওই ঘটনাগুলির তদন্ত প্রক্রিয়ায় ‘প্রশাসনের গাফিলতি’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তফসিলি জনগোষ্ঠীর প্রতি প্রশাসন ‘সহানুভূতিশীল নয়’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পর পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই তফসিলি জাতির মানুষদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ উদাহরণ হিসাবে সোনামুখীর বিধায়কের উপর হামলা, ইন্দাস এবং ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট।মনোনয়ন-পর্বের প্রথম দিন থেকেই অশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, ক্যানিংয়ে, গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সোনামুখী এবং ইন্দাসেও। এই আবহে এ বার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় উষ্মাপ্রকাশ করল এসসি কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy