চলছে ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষাঙ্গনকে যে কোনও রকমের অশান্তি থেকে দূরে রাখার কথা বলেছেন। সে কথা যে মানা হচ্ছে না তা নিয়ে খেদ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ বারে খাস কলকাতার রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রেই কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল মন্ত্রীরই ছেলের বিরুদ্ধে।
পরীক্ষা চলার সময়ে চারুচন্দ্র কলেজের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং ছাত্রীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের নিশানায় রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরের ঘটনা। যদিও ওই ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন সায়ন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্ত মন্ত্রীর গ্রেফতারি আটকানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সায়নদেবের নেতৃত্বে দুপুরের আগে থেকেই কলেজের বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন বেশ কয়েক জন যুবক। এর পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁদের কয়েক জন সোজা ঢুকে পড়ে ইউনিয়ন রুমে। সেখানে ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ওই বহিরাগতরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সায়ন বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় কোনও ভাবে আমার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতিই ছেড়ে দেব।’’ সায়নদেবের বাবা তথা তৃণমূল নেতা শোভনদেববাবুও জানান এই ঘটনায় তাঁর ছেলে কোনও ভাবেই যুক্ত থাকতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘ভিডিও ফুটেজে যদি দেখা যায় সায়ন কলেজের ভিতরে রয়েছে, তা হলে আমি নিজে সায়নকে পুলিশের হাতে তুলে দেব।’’
দেখুন ভিডিও:
তখন কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস টেস্ট চলছিল। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী দিয়া রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘরে ঢুকে যখন ওরা সবাইকে টেনে বেঞ্চ থেকে তুলে দিচ্ছে, তখন আমি মোবাইল বের করে ছবি তুলতে যাই। আমার উপরেও চড়াও হয় তারা। হাতের কাছে জামার বেশ কিছুটা অংশ ছিঁড়ে দেয়। মারধর করে।’’ অভিযোগ, এর পরে গোটা ইউনিয়ন রুমে ভাঙচুর চালানো হয়। বাইরে থাকা ফুলের টবগুলিকে ভেঙে ফেলা হয়। এর পরেই পুলিশকে খবর দেন কলেজের অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষ। কয়েক জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ, সায়নদেব কলেজের বাইরে কয়েকজনের সঙ্গে যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে সায়ন বলেন, ‘‘আমি দলীয় কাজে কলেজের সামনে গিয়েছিলাম। যুব তৃণমূল করি। আমার সঙ্গে ছাত্রদের কোনও যোগ নেই। কিন্তু কলেজে গোলমাল দেখে আমি দাঁড়িয়ে পড়ি। ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy