বিজেপি নেত্রীর নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে অগ্নিগর্ভ হাওড়া। ফাইল চিত্র।
বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় অবরোধ, বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। পথ অবরোধের পাশাপাশি রেল অবরোধ এবং ভাঙচুর, আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটে। ডোমজুড়, ধুলাগড়-সহ একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় তার আঁচ উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারে এই আশঙ্কা করেই এ বার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করার নির্দেশ দিল মহকুমা প্রশাসন। একইসঙ্গে, ১৫ জুন পর্যন্ত জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উলুবেড়িয়া মহকুমায় জাতীয় সড়ক এবং রেল স্টেশনে বিক্ষোভ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে ওই এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই মহকুমা প্রশাসন থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত পাঁচ জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় তাই আগেভাগেই কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন। কোনও ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।
গত দু’দিন ধরে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দফায় দফায় রেল, সড়ক অবরোধের মুখে পড়ে চরম হয়রানি শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। টায়ার জ্বালিয়ে হাওড়ার ডোমজুড়ের অঙ্করহাটির কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ওই জাতীয় সড়ক দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযোগকারী অন্যতম একটি রাস্তা। ফলে গোটা এলাকার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে হাওড়ার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও যানজটের প্রভাব পড়ে। বিকেলের পরেও অবরোধ ওঠেনি দেখে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অবরোধকারীদের হাতজোড় করে অনুরোধ করেন রাস্তা ছেড়ে দিতে। কিন্তু তার পরেও অবরোধ, বিক্ষোভ চলে।
শুক্রবার চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। উলুবেড়িয়া মনসাতলায় বিজেপি গ্রামীণ অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পাঁচলায় দফায় দফায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
পরে ডোমজুর থানাতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধুলাগড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে অবরোধকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই শুক্রবারই নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে সোমবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy