ফাইল চিত্র।
সেশন বা শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে হয়তো জুলাইয়ে, কিন্তু ভর্তি চলছে তার তিন মাস পরেও! দেশের দূরশিক্ষা ও অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে এমন ঢিলেঢালা ভাব আর চলতে দিতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তাই আরও কড়া নিয়ম চালু করেছে তারা।
কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে ভর্তি দিয়েই। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি ভর্তির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, যদি জানুয়ারিতে সেশন শুরু হয়, ফেব্রুয়ারির পরে আর ভর্তি নেওয়া যাবে না। এবং ১৫ মার্চের মধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে ভর্তির সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে হবে। জুলাইয়ে শুরু হওয়া সেশনের জন্য ভর্তি নেওয়া যাবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ওয়েবসাইটে ভর্তির সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে হবে।
শিক্ষা সূত্রের খবর, দূরশিক্ষায় ভর্তিতে আগে বেশ শৈথিল্য ছিল। সেশন শুরুর মাস দুয়েক পরেও ভর্তি নেওয়া হত। শিক্ষা শিবিরের মতে, এই শৈথিল্য বন্ধ করতে চাইছে ইউজিসি। রাজ্যে যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষা চালু রয়েছে, রবীন্দ্রভারতী তার অন্যতম। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে দূরশিক্ষায় শুধু জুলাই সেশনের জন্য ভর্তি নেওয়া হয়। অক্টোবর গড়িয়ে যায় ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হতে। তিনি বলেন, ‘‘ইউজিসি-র বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী কাজ শুরু হলে বোঝা যাবে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না।’’ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও দূরশিক্ষার ব্যবস্থা আছে। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভর্তির দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়ায় অসুবিধাই হবে। কারণ, এগুলো তো নিয়মিত কোর্স নয়। তাই নিয়মিত পাঠ্যক্রমের মতো বাঁধাধরা দিন নির্ধারণ করে দিলে ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়বে।’’
ইউজিসি-র বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা, পাঠ্যক্রমের সময়সীমা-সহ যাবতীয় বিষয়ে ইউজিসি-র নিয়ম মেনে চলতে হবে। পাঠ শেষে পড়ুয়াদের যে-শংসাপত্র দেওয়া হবে, তাতে ভর্তির তারিখ এবং পাঠ্যক্রম শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে সুস্পষ্ট ভাবে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দূরশিক্ষা ও অনলাইন শিক্ষার যথাযথ অনুমতি আছে কি না, ভর্তির আগে তাঁরা যেন সেটা ভাল ভাবে দেখে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy