Advertisement
১০ জানুয়ারি ২০২৫
Adoption

আদালত নয়, জেলাশাসকের নির্দেশে রাজ্যে প্রথম দুই শিশুকে দত্তক নিলেন মালদহের জোড়া দম্পতি

প্রতি বছর মা-বাবার দুর্ঘটনাজনিত কারণে অনাথ হয় বহু শিশু। অনেক শিশুকে আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। মালদহে এ ধরনের পরিত্যক্ত শিশু সংখ্যা ফি-বছর ১০-১২।

শুক্রবার স্থায়ী ঠিকানা পেল ২ পরিত্যক্ত শিশু।

শুক্রবার স্থায়ী ঠিকানা পেল ২ পরিত্যক্ত শিশু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৩৪
Share: Save:

এক জনের বয়স প্রায় ৯ মাস। অন্য জন প্রায় ২ বছরের। এই শিশুকন্যাদের দত্তক নিলেন মালদহের জোড়া দম্পতি। তবে আদালতের নির্দেশে নয়। রাজ্যে চালু হওয়া নতুন আইনের আওতায় জেলাশাসকের নির্দেশেই ওই শিশুদের দত্তক নিতে পেরেছেন তাঁরা। নতুন আইন চালু হওয়ার পর শুক্রবার প্রথম স্থায়ী ঠিকানা পেল শিশুকন্যারা।

প্রতি বছর মা-বাবার দুর্ঘটনাজনিত কারণে অনাথ হয় বহু শিশু। অনেক শিশুকে আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। মালদহে এ ধরনের পরিত্যক্ত শিশু সংখ্যা ফি-বছর ১০-১২। এই শিশুদের ঠাঁই হয় সরকারি হোমে। সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা তাদের জন্য নতুন পরিবারের খোঁজ করেন। সন্তানহীন দম্পতি অথবা কেউ স্বেচ্ছায় শিশুদের দত্তক নেওয়ায় আগ্রহী হলে সরকারি নিয়ম মেনে তাঁদের হাতে শিশুদের তুলে দেওয়া হয়। গত দশ বছরে এমন ১৫৬ জন পরিত্যক্ত শিশুকে নতুন মা-বাবার হাতে দিয়েছেন জেলার সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা।

এত দিন আদালতে আবেদনের মাধ্যমে শিশু দত্তক নেওয়ার নিয়ম ছিল। যদিও নতুন নিয়মে এখন জেলাশাসকের নির্দেশেই শিশু দত্তক নেওয়া যাবে। এই নতুন আইনে রাজ্যে প্রথম এই দুই শিশুকন্যাকে শুক্রবার দত্তক দেওয়া হল। মালদহ জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে হাসপাতাল থেকে বা দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিত্যক্ত শিশুদের আমরা উদ্ধার করি। তাদের স্পেশালাইজ়ড অ্যাডপশন এজেন্সিতে রাখা হয়। পরিত্যক্ত শিশুরা প্রায় ২মাস ফস্টার কেয়ারে থাকে। তাদের নাম পোর্টালে নথিভুক্ত করা হয়। এর পর যাঁরা পোর্টালের মাধ্যমে শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেন, তাঁদের ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়। তাঁদের হাতেই আইনত দত্তক নেওয়া শিশুদের তুলে দেওয়া হয়। সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের সঠিক পরিকল্পনা, ইচ্ছা ও সক্রিয় ভূমিকায় এটা সম্ভব হয়েছে।’’ শুক্রবার দুই শিশুর নতুন ঠিকানা পাওয়ায় তাদের মা-বাবাদের মতো আনন্দিত সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক আলপনা দাস। তিনি বলেন, ‘‘আজ আমরা ২টি দত্তক নেওয়া শিশুকে তার মা-বাবাদের কাছে পৌঁছে দিলাম। ওই শিশু ৬-৭ মাস হোমে ছিল। মালদহের জেলাশাসক দত্তক নেওয়ার নির্দেশনামা নিজে হাতে ওই দুই দম্পতির হাতে তুলে দেন। তাতে ওই দম্পতিরা এবং আমরা খুবই খুশি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Adoption
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy