প্রতীকী চিত্র।
মাস কয়েক আগে স্ট্র্যান্ড রোডে একটি এটিএমে ‘স্কিমিং’ যন্ত্র বসাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে এক রোমানীয় নাগরিক। সেই সূত্র ধরে আরও দু’জন রোমানীয়কে পাকড়াও করে লালবাজার। তাদের চুরি করা তথ্য দিয়েই এ বার কলকাতার বাসিন্দাদের টাকা লোপাট করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে লালবাজার।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই রোমানীয়রা জানায়, ডালহৌসি এলাকার এটিএমে ‘যন্ত্র’ বসানোর আগে যাদবপুর, নেতাজিনগর, টালিগঞ্জের কয়েকটি এটিএমে ‘স্কিমিং’ যন্ত্র বসিয়ে গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য চুরি করে তারা। এ বারেও যে নাগরিকেরা টাকা খুইয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ওই এলাকার এটিএম ব্যবহার করেছেন।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৮-র মে মাসে রোমানীয় জালিয়াতদের পাকড়াও করার সময় জানা গিয়েছিল, তারা বিভিন্ন চক্রের সঙ্গে যুক্ত। কোনও চক্র শুধু তথ্য চুরি করে এবং তা অন্য একটি চক্রের কাছে বেচে দেয়। সেই চক্র কার্ডের প্রতিলিপি তৈরি করে তা দিয়ে টাকা গায়েব করে। মাস কয়েক আগে ধরা পড়া তিন রোমানীয় কাদের কাছে তথ্য বিক্রি করেছিল তা জানতে চাইছে পুলিশ। এ নিয়ে জেলে থাকা ওই বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলতে চান তদন্তকারীরা। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এই ধরনের লেনদেন মূলত সাইবার দুনিয়ার অন্ধকার জগত বা ডার্ক ওয়েবে হয়। ফলে কাদের কাছে বিক্রি হয়েছে তার নিশ্চিত তথ্য ওই তিন জনও জানবেন না। কারণ, ডার্ক ওয়েবে আসল পরিচয় প্রকাশ হয় না। ফলে গোয়েন্দাদের পক্ষেও দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানা কষ্টসাধ্য।
লালবাজার জানায়, এখনও কলকাতার ৭০ জন বাসিন্দা এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নামলেও শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। সূত্রের দাবি, দক্ষিণ দিল্লির যে যে এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে তার সিসিটিভি ফুটেজই আপাতত মূল সূত্র। তার সঙ্গে অভিবাসন দফতরের হাতে থাকা পূর্ব ইউরোপীয় নাগরিকদের তথ্য ও ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy