ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এ বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদের বিশেষজ্ঞ কমিটির দুই সদস্য দেবজ্যোতি ঘোষ এবং পঞ্চানন রায়। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই দু’জনকে আজ, শনিবার সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) সামনে হাজিরা দিতে হবে।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, দেবজ্যোতিবাবু এবং পঞ্চাননবাবুকে কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে এ দিন দু’জনে হাজির হন। বিচারপতি দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং বয়ানও নথিবদ্ধ করেন। এই কমিটির আর এক সদস্য সিস্টার এমিলিয়াকে বয়সজনিত কারণে কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়নি। তবে তিনি আইনজীবী মারফত হলফনামা জমা দেন। সব নথি খতিয়ে দেখে কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দেবজ্যোতিবাবু এবং পঞ্চাননবাবুর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দু’টি মামলার একসঙ্গে শুনানি চলছে। একটির মামলাকারী রমেশ মালিক এবং অন্যটির সৌমেন নন্দী। এ দিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস মুখবন্ধ খামে কোর্টে কিছু নথি জমা দেন। বিচারপতি সেই নথি সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছেন। উপেনবাবু এ দিনও কয়েক দফা পরামর্শ দেন। সেগুলি লিখিত ভাবে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। এ দিন রমেশের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেন। তাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন কিছু তথ্য কোর্টকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা কী ভাবে ডাকা হত, তার কার্যবিবরণীতে সদস্যেরা সই করতেন কি না, ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত কী হয়েছিল, এ দিন তা দেবজ্যোতিবাবুর কাছে জানতে চান বিচারপতি। দেবজ্যোতিবাবুর পরে পঞ্চাননবাবুকেও কাঠগড়ায় তুলে বয়ান লিপিবদ্ধ করেন বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy