চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন এভাবেই তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন কালনার দলীয় কাউন্সিলররা। নিজস্ব চিত্র।
কালনা পুরসভার কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সমস্যা মেটাতে সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বর্ধমানের ওই পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানেই দলের ১৭ জন কাউন্সিলরের কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
পুরভোটের ফল প্রকাশের পর দলের তরফে কোন পুরবোর্ডে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান কারা হবেন, তাঁদের নাম লিখে খামবন্দি অবস্থায় পাঠানো বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। গত ১৫ মার্চ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের স্বাক্ষর করা সেই খামবন্দি চিঠি সাংবাদিক বৈঠকে পড়ে শুনিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে সেই নাম যে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের মনমতো হয়নি, তা বর্ধমানের সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তপন পোড়েলের অনুগামী কাউন্সিলররা। সেই বৈঠকে ৫ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকলেও বাকি ১২ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
১৬ মার্চ কালনায় দিনভর কার্যত নাটক চলে। পুরবোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা। কোনও পক্ষ একে অন্যকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। দল যাঁকে পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে, তাঁকে পছন্দ নয় অন্য পক্ষের। এর মধ্যেই কাউন্সিলর অনিল বসু প্রতিবাদ জানাতে এক কাণ্ড করে বসেন। দলের মনোনীত চেয়ারম্যান পছন্দ না হওয়ায় পুরসভা ভবনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পুরভবনের বারান্দার রেলিংয়ে উঠে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ঝাঁপ দিতে যাবেন, তখনই তাঁকে সময় মতো আটকে দেন সেখানে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
১৬ মার্চ কালনায় দিনভর কার্যত নাটক চলে। পুরবোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা। কোনও পক্ষ একে অন্যকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। দল যাঁকে পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে, তাঁকে পছন্দ নয় অন্য পক্ষের। এর মধ্যেই কাউন্সিলর অনিল বসু প্রতিবাদ জানাতে এক কাণ্ড করে বসেন। দলের মনোনীত চেয়ারম্যান পছন্দ না হওয়ায় পুরসভা ভবনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পুরভবনের বারান্দার রেলিংয়ে উঠে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ঝাঁপ দিতে যাবেন, তখনই তাঁকে সময় মতো আটকে দেন সেখানে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, চেয়ারম্যান কিংবা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নেতৃত্ব যাঁর নাম পাঠাবেন, তাঁকেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু তারপরেও বুধবার কালনায় পুরবোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে দিনভর নাটক চলে। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচিত কাউন্সিলররা। যদিও পরে জেলাশাসকের নির্দেশে সেই ভোটাভুটি বাতিল হয়ে যায়। এরপরেই বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলর তপনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে দেন মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরূপ। দলের নির্দেশ না মেনে চেয়ারম্যান নির্বাচনে সক্রিয় থাকার অভিযোগে আরও তিন কাউন্সিলরকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শাস্তি নেমে আসায় কিছুটা নমনীয় হন কাউন্সিলররা। সোমবার তাদের কলকাতায় ডেকে পাঠান তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেখানেই মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হল কাউন্সিলরদের থেকে। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অরূপ বলেন, ‘‘এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করতে হাজির হয়েছিলেন কাউন্সিলররা। অন্য কোনও বিষয় নেই।’’
বৈঠকে হাজির এক কাউন্সিলর জানিয়েছেন, মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি, দলের বার্তা কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তৃণমূল নেত্রী যাঁকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান বেছে দেবেন তাঁকেই মেনে নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy