শ্রী গুরু গ্রন্থসাহিবের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার গোল পার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারে। নিজস্ব চিত্র
শিখদের পবিত্র গ্রন্থ তো বটেই। সেই সঙ্গে শ্রী গুরু গ্রন্থসাহিবকে ‘আন্তঃধর্মীয় সংস্কৃতির সংলাপ’ এবং ‘জাতীয় সংহতির প্রতীক’ বলে অভিহিত করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের যুগে সঙ্কলিত বইটির বঙ্গানুবাদ শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন তিনি। গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবর্ষেই আলোর মুখ দেখল বাংলা গ্রন্থসাহিব।
গোল পার্কে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের অনুষ্ঠানে সদ্য ভারতরত্ন প্রণববাবু বলেন, ‘‘এই বইটি এ বার পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং দুনিয়ার অন্যত্র ৩০ কোটি বাঙালির কাছে পৌঁছে যাবে।’’ অনূদিত বইটির কিছু অংশ পড়ে শোনান, গোল পার্কের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী সুপর্ণানন্দ। নানক-জীবনে সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রকাশ কী ভাবে ঘটেছিল, তা মেলে ধরেন তিনি। উদ্যোক্তারা মনে করালেন, গ্রন্থসাহিবের সঙ্গে বাংলার যোগ আবহমান। গুরু নানক থেকে শুরু করে গুরু গোবিন্দ সিংহ পর্যন্ত শিখ গুরুদের অধ্যাত্মভাবনা ও জীবনদর্শন সংবলিত এই গ্রন্থে তদানীন্তন ভারতের জীবনবোধের একটা সামগ্রিক ছাপ পড়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় ভাবনার ভক্তপ্রবর, সাধক-কবিদের ভাবনাও এই বইয়ে মিশেছে। বীরভূমবাসী জয়দেবের রচিত দু’টি পদও শিখ গুরুরা বইটিতে আহরণ করেছিলেন।
হিমাচল প্রদেশের সোলানবাসী প্রকাশক লছমন চেল্লারামের উদ্যোগে অনুবাদের কাজটি সফল হয়েছে ১৭ বছরের চেষ্টায়। পাঁচ খণ্ডে বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুম্বইবাসী দম্পতি চয়ন ঘোষ ও ঝুমা ঘোষ। গুরমুখী থেকে হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাতি, মরাঠির পরে এই বাংলা তর্জমা। আগরপাড়ার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় গ্রন্থপ্রকাশ অনুষ্ঠানটিতে অন্যতম আয়োজক রসবীর সিংহ শিখ জীবনদর্শন ও বীরত্বের প্রতি রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দদের গভীর শ্রদ্ধার কথা স্মরণ করেন। অনূদিত বইটির ১০০টি কপি কলকাতার বিভিন্ন গ্রন্থাগারে দান করা হবে বলে জানান আয়োজকেরা। রসবীর জানান, তাঁরা আগ্রহীদের বিনামূল্যে বইটি দিতে আগ্রহী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy