শিক্ষার শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে পড়ুয়ারা! বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সরকার বুঝতে পারছে, প্রাক্-প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়ারা আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে না। তাই ওই স্তরে শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি খুদে পড়ুয়াদের জন্য একাধিক ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা দফতর। একই ভাবে সমগ্র শিক্ষা অভিযানে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে তার রূপরেখা তৈরি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এ রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার প্রাথমিক স্কুলে প্রাক্-প্রাথমিকের শিশুদের পড়ানো হলেও তাদের জন্য আলাদা শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। পৃথক ঘর না থাকায় প্রথম শ্রেণির শিশুদের সঙ্গেই বসানো হয় তাদের। এ রাজ্যে পাঁচ বছরের পরে প্রাক্-প্রাথমিক স্তর শুরু হয়। অনেক শিক্ষাবিদের বক্তব্য, ওই বয়সের একটি শিশুকে অন্য শ্রেণির পড়ুয়াদের ভিড়ে ঠেলে দেওয়ায় শিক্ষা সম্পূর্ণ হতে পারে না।
প্রাক্-প্রাথমিক শিশুদের জন্য কুটুমকাটাম, মজারু এবং গান ও কবিতার জন্য বিহান বই-এর সংস্থান করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে দফতরের কর্তারা জানতে পেরেছেন, ওই শিক্ষা শিশুদের দেওয়া হয় না। প্রাথমিকের শিক্ষকেরা সাধারণত ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাঁদের পক্ষে ওই শিশুদের পড়ানো কঠিন।
ভিত গড়তে
• রাজ্যের দেড় লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
• শ্রেণিকক্ষে খেলার সরঞ্জাম।
• প্রয়োজনে এই পড়ুয়াদের জন্য পৃথক ঘর।
• এই স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি করছে কেন্দ্র।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক স্তরের দেড় লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পৃথক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রাক্-প্রাথমিকের জন্য পৃথক ঘর ও খেলার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করার কথা চলছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর থেকে বেশি আর কিছু বলব না।’’
প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের সঙ্গে আলোচনা করেছিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুল বিভাগ। ওই বিভাগের চেয়ারম্যান তমাল মুখোপাধ্যায় জানান, এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ চেয়েছিল সরকার। সেই পরামর্শ দেওয়ার পরে ওই স্তরে কী রকম শিক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত, তার রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব কোয়ালিটি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া-কে দিয়েছে সরকার। সেই রূপরেখা হাতে আসার পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy