বাঁশতলায় বিক্ষোভে থমকে ট্রেন। শনিবার রাতে। নিজস্ব চিত্র
রোজই রাতে ট্রেন দেরিতে চলে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে রাতেই ট্রেন থামিয়ে শুরু হল অবরোধ। ঝাড়গ্রামের অদূরে বাঁশতলা স্টেশনের এই ঘটনায় উস্কে গেল এক দশক আগের স্মৃতি।
২০০৯ সালের অক্টোবরে এই বাঁশতলাতেই ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটক করেছিল মাওবাদীরা। খড়্গপুর থেকে টাটাগামী রাতের লোকাল দেরিতে চলার প্রতিবাদে শনিবার সেখানেই গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান একাংশ যাত্রী। মাঝরাত পর্যন্ত চলে অবরোধ-বিক্ষোভ, আটকে থাকে ট্রেন। নাকাল হন অনেকে। শেষ পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁশতলা স্টেশনে আসেন ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার। তিনি যাত্রীদের অভিযোগ শোনেন এবং সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন। এর পরে রাত পৌনে তিনটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। তিনটে নাগাদ ট্রেন ঝাড়গ্রামে পৌঁছয়। সেখানে মিনিট দু’য়েক থামার পরে ট্রেনটি টাটা রওনা দেয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেনটির পিছনে শালিমার-ভূজ সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস ছিল। ওই ট্রেনটিকে পাস করানোর জন্য লোকালটির বিলম্ব হয়েছিল। যাত্রীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা পদক্ষেপ করা হবে।’’
খড়্গপুর থেকে টাটানগরগামী রাতের লোকাল খড়্গপুর থেকে ছাড়ার কথা রাত ৯টা ১০ মিনিটে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ট্রেন বাঁশতলায় পৌঁছলে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আপ ও ডাউন লাইনে বসে পড়েন। শুরু হয় বিক্ষোভ। আপ লাইনে লোকাল ট্রেনটিকে আটকে রাখা হয়। ডাউন লাইনে আটকে পড়ে মালগাড়ি। ফলে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টাটা-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। দূরপাল্লার ট্রেন ও মালগাড়িগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় থামিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানেরা। তবে যাত্রীরা জানিয়ে দেন, রোজ রাতেই লোকাল ট্রেন দেরিতে চলে। টাটা-খড়্গপুর শাখার বেশিরভাগ লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনও সময়মতো চলে না। তাই উপযুক্ত প্রতিশ্রুতি না পেলে অবরোধ তুলবেন না বলে যাত্রীরা জানিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy