প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহের অন্যান্য কাজের দিনের মতোই শনিবার ট্রেন চালিয়েছেন পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখায় গত দুদিনে ট্রেনের সংখ্যা ব্যস্ত সময় বাড়িয়ে প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি করা হয়েছে।
তবে, করোনা আবহে ট্রেন চললেও শনিবার কালীপুজোর দিনে অন্যান্য বারের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েনি। বরং, শিয়ালদহ থেকে বারাসত, বনগাঁ, নৈহাটি, রানাঘাট, শান্তিপুর, ক্যানিং এবং বজবজের মতো শাখায় যত ট্রেন ছেড়েছে তার বেশিরভাগই ছিল এ দিন ফাঁকা। হাওড়া থেকে রাত ১১টা ১৫ মিনিট এবং শিয়ালদহ থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে অন্তিম ট্রেন ছাড়লেও তাতেও যাত্রীদের ভিড় সেভাবে চোখে পড়েনি।
কালীপুজোর দিনে বারাসত-মধ্যমগ্রাম এবং নৈহাটিকে ঘিরে অন্যান্যবার যে উন্মাদনা চোখে পড়ে এ বার তার ছিটেফোঁটা না থাকাকেই বড় কারণ বলে মনে করছেন রেল যাত্রীদের বড় অংশ।
বনগাঁ থেকে প্রতিবছর অনেকেই কালীপুজোর রাতে বারাসত বা মধ্যমগ্রামে আসেন। কিন্ত, এ বার সেই প্রবণতা চোখে পড়েনি। বনগাঁর বাসিন্দা সুশান্ত নাথ বলেন, ‘‘ভিড় এড়াতেই এ বার কোথাও যাচ্ছি না। তা ছাড়া, বারাসতে বিগ বাজেটের পুজোও হচ্ছে না।’’
বসিরহাটের স্বপন ঢালি, রতন বৈদ্যরা বলেন, ‘‘সব পুজোই এ বার ছোট করে হচ্ছে। তাই আর এ বার প্রতিমা দেখার উৎসাহ কম। কোথাও যাচ্ছি না।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও কলকাতার পুজো দেখার ভিড় এ বার তেমন চোখে পড়েনি। সন্ধের পরে কলকাতার দিকে ট্রেনে ভিড় বাড়েনি। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে বা কৃষ্ণনগর লাইনের আপ ও ডাউন ট্রেন শনিবার অন্য দিনের তুলনায় ফাঁকা ছিল। লালগোলা প্যাসেঞ্জারও তা-ই। বুধবার ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে ক্রমশ ভিড় বাড়ছিল। কিন্তু এ দিন ভিড় নেই বললেই চলে।
ট্রেন ধরে কালীপুজো দেখতে আসা বা অন্যত্র যাওয়ার ছবি দেখা যায়নি বর্ধমানে। বরং এ দিন সকালের পর থেকে স্টেশন চত্বর ফাঁকাই ছিল। কিছু যাত্রী কালীপুজো ও ভাইফোঁটা উপলক্ষে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন।
হাওড়া–কাটোয়া শাখাতেও মণ্ডপ ঘুরতে বেরনো যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়েনি। হুগলির পান্ডুয়ায় কালীপুজো দেখতে প্রতিবারই ট্রেনে করে বহু মানুষ আসেন। এ বার সেখানেও ভিড় নেই। কলকাতাগামী ট্রেনেও পুজো দেখতে যাওয়ার আগ্রহ তলানিতে। অনর্থক ভিড় না বাড়ানোর জন্য যাত্রীদের মানসিকতার প্রশংসা করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy