চণ্ডীপুরে আজ সিপিএমের সমাবেশে মানিক সরকার। —ফাইল চিত্র
প্রায় ১২ বছর আগে নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরে ধাক্কা খেয়েছিল জনসমর্থন। উত্থান ঘটেছিল তৃণমূলের। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের আগেই জেলা পরিষদ সহ অধিকাংশ পঞ্চায়েতে ক্ষমতা হারিয়েছিল সিপিএম। জেলায় সাংগঠনিক শক্তি খুইয়ে হাতছাড়া হয়েছিল অধিকাংশ বিধানসভা। নন্দীগ্রাম, খেজুরি সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে ঝাঁপ পড়ে গিয়েছিল তৃণমূলের দাপটে।
রাজনীতির এই আবহে জেলায় সর্বশেষ বড় সমাবেশ হয়েছিল বছর তিনেক আগে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে জেলা সম্মেলন উপলক্ষে এগরায় সমাবেশে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তারপরে পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভার নির্বাচন হলেও পূর্ব মেদিনীপুরে বড় সমাবেশ করতে পারেনি বামেরা। নির্বাচনেও ভরাডুবি ঘটে। তিন বছর পর সেই নন্দীগ্রামেই জেলার বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে কয়েক মাস আগে মাঠে নামে সিপিএম জেলা নেতৃত্ব। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতি, কর্মসংস্থানের ইস্যুকে সামনে রেখে এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রাজ্য বিধানসভায় সিপিএমের দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। কিন্তু দু’বার সমাবেশের দিন বদলাতে হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর চণ্ডীপুরে সমাবেশের দিন স্থির করে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা স্থগিত হয়। পরে ৯ নভেম্বর সমাবেশের জন্য ফের প্রচার করা হলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জেরে তাও স্থগিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৮ নভেম্বর সমাবেশের দিন ঠিক করে প্রচার চালানো হয়েছে।
দুর্যোগের জেরে পরপর দু’বার দিন বদলেও সমাবেশে সমর্থকদের জমায়েতে কোনও খামতি হবেনা বলে দাবি জেলা সিপিএম নেতৃত্বের। দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমাবেশের দিন বদল করতে হলেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে গিয়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সমাবেশে ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে আশা করছি।’’ চণ্ডীপুরের সমাবেশে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি নন্দীগ্রাম ও খেজুরি থেকেও সমর্থকরা আসবেন বলে জানিয়েছেন সিপিএম জেলা নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের শক্তঘাটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে এখন প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। গত লোকসভা ভোটে জেলায় তৃণমূল দু’টি আসনে জিতলেও বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি তাদের উদ্বেগে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে বামেদের রাজনৈতিক কার্যকলাপে সুবিধা হবে তাদেরই। গত কয়েক বছর ধরে খেজুরি ও ভূপতিনগর এলাকায় বন্ধ থাকা সিপিএম কার্যালয় খোলা হলেও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। গত মে মাসে লোকসভা ভোটের সময় নন্দীগ্রাম বাজারে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সিপিএমের অফিস খোলা হয়েছিল। তা নিয়ে কিছুটা বাধার মুখে পড়তে হলেও সম্প্রতি খেজুরির কলাগেছিয়া সিপিএম কার্যালয় খোলা হয়েছে বিনা বাধায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy