কেন্দ্রের অনুমোদনে এ রাজ্যে ই-রিকশা চলছে অনেক দিন ধরে। এ বার সেই দূষণমুক্ত যানের উপরে এককালীন ৬৬০ টাকা কর বসাচ্ছে সরকার। আজ, বুধবার বিধানসভায় এ সংক্রান্ত দু’টি বিল আনা হচ্ছে বলে পরিবহণ দফতরের খবর। সেগুলি হল ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মোটর ভেহিক্লস ট্যাক্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাডিশনাল ট্যাক্স অ্যান্ড ওয়ান-টাইম ট্যাক্স অন মোটর ভেহিক্লস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬’। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ওই কর কার্যকর হওয়ার কথা।
পরিবহণ-কর্তারা জানান, দিল্লিতে বিজেপি সরকার আসার পরে ব্যাটারিচালিত ই-রিকশাকে গণপরিবহণের মর্যাদা দিয়ে রাস্তায় নামার অনুমতি দেয়। সেই অনুসারে কেন্দ্রীয় মোটরযান আইন সংশোধন করে কেন্দ্র। তার পরে প্রায় সব রাজ্যেই ই-রিকশা সাধারণ মানুষের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এত দিন আমরা ই-রিকশা থেকে কর আদায় করিনি, তাই এগুলোকে রাজ্যের মোটরযান আইনের আওতায় আনা হয়নি। এ বার হবে।’’
এবং সেই জন্যই মোটরযান আইন সংশোধন করতে বিল আনছে রাজ্য সরকার। নতুন বিলে ই-রিকশার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ওই গাড়িটিকে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগের কাজে লাগানো হবে। চালক ছাড়া চার জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। ই-রিকশার মোটরের শক্তি কোনও অবস্থাতেই ২০০০ ওয়াটের বেশি হবে না এবং ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ওই গাড়ি চালানো যাবে না।
বর্তমানে ওই তিন চাকার গাড়িকে অটোর বিকল্প ভাবা হলেও প্রস্তাবিত বিলে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। এক পরিবহণ-কর্তা বলেন, ‘‘মানুষ যে-ভাবে ট্যাক্সি ভাড়া করেন, ই-রিকশা ভাড়া নিতে হবে সে-ভাবেই। অটোর মতো যাত্রী-পিছু ভাড়া দেওয়া যাবে না।’’
পরিবহণ-কর্তারা জানাচ্ছেন, যে-ধরনের ব্যাটারিচালিত গাড়িকে কেন্দ্র ই-রিকশার মর্যাদা দিয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। বাকি যে-সব গাড়ি (চলতি কথায় টোটো) গ্রামেগঞ্জে চলছে, তা বেআইনি।’’ তবে এখনই সেগুলিকে বাতিল করার চিন্তাভাবনা নেই। বরঞ্চ বেকারদের স্বার্থে কী ভাবে টোটোকে আইনের আওতায় আনা যায়, সেই পরিকল্পনাও করছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy