—ফাইল চিত্র।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধের হিসাব মিলছে না। অভিযোগ, হাসপাতালের স্টোর থেকে চুরি গিয়েছে বেশ কয়েকটি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। প্রভাব খাটিয়ে সিসিইউ-তে ডিউটিরত নার্সের কাছ থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে নিয়েছেন হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক— এমনটাই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই চিকিৎসক রাজ্যের শাসকদলের এক নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্যাথোলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্মে বানানো হয়েছে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন। আর সেটা ব্যবহার করেই ইঞ্জেকশন তুলে নেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে, গত কয়েক দিন ধরেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দু’টি অডিয়ো ক্লিপ ও কয়েকটি ছবি। ওই অডিয়ো ক্লিপ ও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল। নেটমাধ্যমে অনেকের দাবি, ছবিগুলি মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্ম। সেই ফর্মে চলতি বছরের ২৪ মার্চের তারিখ উল্লেখ রয়েছে। তবে নাম রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির। একটি অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে এক মহিলা (নিজেকে সিসিইউ-র সিস্টার বলে পরিচয় দিচ্ছেন) অন্য এক মহিলাকে ফোন করে বলছেন, ‘‘দিদি, আমি সিসিইউ-র সিস্টার বলছিলাম। বলছি যে আপনি যে ২৬টি টসিলিজুমাব নিয়েছেন সেটা যদি কাগজে রিসিভ করে নিতেন।’’ এবার অপর প্রান্তে থাকা মহিলা বলছেন, ‘‘আচ্ছা দিদি আমি সোমবার আসব, করে দেব।’’
আর একটি অডিয়ো ছড়িয়েছে। অভিযাগ, তাতে ওই নার্স ও চিকিৎসককের কথোপকথনে দুই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। একজনের নাম ‘দেবাশিস স্যর’ ও অন্য জন ‘নির্মল মাজি স্যর’। এবং এটাও শোনা যাচ্ছে যে উপরমহলের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সোমবারে স্যর দেখে নেবে। এ-ও বলা হচ্ছে যে, প্রয়োজনে ‘রিসিভ’ না দিতে পারলে কপি ছিঁড়ে ফেলা হবে।
গত ৩ মে স্বাস্থ্য দফতর রেমডেসেভির এবং টসিলিজুমাব, এই দু’টি ইঞ্জেকশনের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রস্তুতকারক সংস্থা এই দুটি ইঞ্জেকশন শুধু নার্সিংহোম ও কোভিড হাসপাতালকেই বিক্রি করতে পারবে। নেটমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, বেআইনি ভাবে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন তুলে নেওয়া অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম দেবাংশী সাহা। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজে ওই নামে এক মহিলা চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই, আমি কিছু জানি না।’’
দ্বিতীয় অডিয়ো ক্লিপে নির্মল মাঝি স্যর বলে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তৃণমূল নেতা নির্মল মাজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোনে বলেন, ‘‘আমি শুনেছি ঘটনাটি, তদন্ত কমিটি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। আমি শুনেছি, যে এটা করেছে সে ভুল স্বীকার করেছে। দিয়ে দেবেও বলেছে। এটা যদি করে থাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আমি যদি দেখি কেউ আমার নাম নিয়েছে, আমি এফআইআর করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy