মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে পথে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুজোর পরে ১৮ অক্টোবর শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা হয়ে ডালহৌসি পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন তৃণমূল নেত্রী। তা ছাড়া, কাশীপুর গান এন্ড শেল এবং কোল ইন্ডিয়ার মতো বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার দফতরের সামনেও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-কে বিক্ষোভ দেখাতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে শ্রমিক সমাবেশে তিনি দলের সাংসদ, বিধায়ক ও শ্রমিত নেতাদের বলেন, ‘‘দিল্লিতে যান। ২০ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার ধর্নায় বসুন। অর্থমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। কথা বলুন।’’ গত সপ্তাহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেও এই বেসরকারিকরণ বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একের পর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে বাংলা থেকেই প্রতিবাদ শুরুর আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে কথা বলতে হয়। কখনও কখনও জোট বাঁধতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদ করতে হবে।’’
এ রাজ্যে কোনও সরকারি সংস্থা তাঁর সরকার বন্ধ করে দেয়নি বলে দাবি করে মমতা বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা দেশকে বাঁচায়। ব্যাঙ্কিং মানুষের বাঁচার জায়গা। কখনও কখনও কিছু সংস্থাকে বাঁচাতে পদক্ষেপ করতে হয়। আমরা কিছু সংস্থার সংযুক্তি করলেও একজনের চাকরি যায়নি।’’
এ রাজ্যে সেল, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ, হিন্দুস্তান পেপারস-এর মতো সংস্থার কী হাল, সে প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসানসোলের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। সেল, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ, হিন্দুস্তান পেপারস আজ কোথায়? কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের কী অবস্থা?’’ আর্থিক দুরবস্থায় থাকা জেসপ, ডানলপের মতো সংস্থাকে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করতে চেয়েও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের অনুমতি মেলেনি বলে এ দিন অভিযোগ করেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy