কুণাল ঘোষ। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
আরজি করের ঘটনার পরবর্তী আন্দোলন দ্রুত ছড়াচ্ছে রাজ্যে। ওই আন্দোলনের আঁচ সরাসরি এসে লাগছে শাসক তৃণমূলের গায়ে। এই আবহে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বুধবার মধ্যরাতের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তৃণমূলের কিছু নেতা-সমর্থক ফেসবুকে ওই আন্দোলনের বিরুদ্ধে লেখালিখি চালু করলেও প্রথম সারির কোনও নেতা এখনও সে ভাবে মুখ খোলেননি। ব্যতিক্রম কুণাল ঘোষ!
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে বুধবার দুপুর সওয়া ১টা পর্যন্ত সমাজমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ধারাবাহিক ১২টি পোস্ট করেছেন কুণাল। এর মধ্যে ১১টিই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার, ১৪ অগস্টের রাজ্য জুড়ে রাত দখলের কর্মসূচি সংক্রান্ত। কুণালের অভিযোগ, ওই কর্মসূচিকে ‘অরাজনৈতিক’ বলে দাবি করলেও আদতে সেটি ‘সিপিএম এবং বিজেপির বকলমা ইভেন্ট।’ যে ‘রাম-বামের’ জমানায় বহু ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার নজির রয়েছে, তারাই এখন আরজি কর-কাণ্ডে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে।
বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রাজ্যে জেলায় জেলায় মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি রয়েছে। যে প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রথমে শুধুমাত্র কলকাতার তিনটি অতিশহুরে এলাকায় কেন্দ্রীভূত ছিল, তা ছড়িয়ে পড়েছে শহর-গ্রাম-শহরতলিতে। কুণাল তাঁর প্রতিটি পোস্টেই জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলও আছে। দোষীদের শাস্তি তৃণমূলও চায়। কিন্তু তারা রাম-বামের ‘সুযোগসন্ধানী’ নাটকে নেই। কুণালের বক্তব্য, ‘প্রতিবাদ আমরা সবাই করছি। কিন্তু বাম-রাম মুখোশ পরে রাতে পথনাটিকা করবে। তাতে শামিল হবেন না। ওরা বানতলা, ধানতলা-সহ অসংখ্য ঘটনার ধারক-বাহক। এখন একটি বিচ্ছিন্ন কুৎসিত ঘটনা নিয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে।’
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথম পোস্টটি করেন কুণাল। সেখানে তিনি বলেন, ‘যারা বড় বড় কথা বলে লাফাচ্ছে, কোচবিহার, বানতলা, ধানতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের ধর্ষণ, খুনের পর কোথায় ছিল? সিপিএম, বিজেপির যৌথ রাত জাগার নাটক। প্রতিবাদ আমরাও করছি। সবাই করছি। কিন্তু ওরা অতীত ভুলিয়ে মুখোশ পরে রাজনীতি করছে। ওদের অতীত মনে করান।’ তার পর থেকে একের পর এক পোস্ট করেছেন কুণাল। বন্ধ ছিল রাত ১২টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। আন্দোলনকারীদের তাঁর পরামর্শ, ‘নিরপেক্ষতা চাইলে পোস্টারে কোচবিহার, বানতলা, ধানতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, উন্নাও, হাথরাস, বিলকিস রাখুন।’ পাশাপাশিই, বাম জমানায় ধর্ষণ করে খুন-করা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অনিতা দেওয়ানের বাড়ির সামনে ধর্নার আহ্বানও জানান তিনি। পরে অনিতার পাড়ায় হাতে পোস্টার নিয়ে ধর্না দিতেও দেখা যায় কুণালকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy