মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে অভিষেক
শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর দুই আসনে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে গিয়ে একযোগে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিজয়রথ শুধু বাংলাতেই নয়, অন্য রাজ্যেও পৌঁছে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপি-র অস্তিত্বসঙ্কট নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক এ দিন বললেন, ‘‘আমরা দলের দরজা বন্ধ করে রেখেছি। যে দিন মনে হবে, দরজা খুলে দেব। সে দিন বিজেপি পার্টিটাই উঠে যাবে।’’
গত জুন মাসে মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বিজেপি-তে। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। জোড়াফুল শিবিরে এসেছেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়কও। সদ্যই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এই প্রেক্ষিতে দলবদল নিয়ে শমসেরগঞ্জে অভিষেকের বক্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিনেই জঙ্গিপুরের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করলেন ফরাক্কার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক মইনুল হক।
অভিষেক বলেন, ‘‘ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে চোরেদের সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে একটাই ইঞ্জিন। এমন ধাক্কা দিয়েছে ওদের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বাংলা ভারতকে পথ দেখাবে। মুর্শিদাবাদ ২২-এর মধ্যে ২০ করতে হবে। দিল্লি থেকে বিজেপি-কে তাড়াব। আমরা যা বলেছি, তাই করেছি।’’ এ দিন কংগ্রেসকেও বিঁধেছেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, ‘‘কংগ্রেস বড় বড় ভাষণ দেয়। কোনও দিন রাস্তায় নেমেছে? এদের নেতা বাইরে গিয়ে ফূর্তি করে। কোভিড-আমপানের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। কিন্তু নিজের জীবন বিপন্ন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটা তো অস্বীকার করা যায় না। কংগ্রেস নাকি বিজেপিকে হারাবে। কংগ্রেস বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়ছে ঠিকই। কিন্তু কংগ্রেস হারছে আর তৃণমূল হারাচ্ছে।’’ বিজেপি-কে সুবিধা করে দিতেই কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধেছিল বলেও অভিযোগ করলেন অভিষেক।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি, আগে একাধিক বার এই অভিযোগ করেছেন অভিষেক। এ দিন ভোট প্রচারে আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র দুই ভাই ইডি এবং সিবিআই। যে ভাবে ইডি, সিবিআই দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, তাতে কোনও ফল হবে না। ৫০০ বার ডাকলেও কিছু হবে না। ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান আমাদের।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আগামী দিনে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সব জায়গায় একটিই আওয়াজ উঠবে। তার জন্য এত ভয় দেখাচ্ছে, চমকাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নোংরামো করছে। আমাদের এই লড়াই অনেক বড় লড়াই। তৃণমূল বহিরাগতদের কাছে মাথা নিচু করে বেঁচে থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy