মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভবানীপুরে দলীয় এক প্রার্থীর মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। পুলিশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে রাস্তার উপরেই শুরু হয় অবস্থান-বিক্ষোভ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ধূর্জটি ওরফে মানস সাহা বুধবার মারা যান। ভোট পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন ঠাকুরপুকুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার সেখানেই মারা যান তিনি। মানসের দেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি-র নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ অর্জুন সিংহ, ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালরা।
পুলিশ সেই মিছিল আটকালে শুরু হয় অশান্তি। এর পর মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির অদূরে মানসের দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন সুকান্তেরা। প্রসঙ্গত, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বুধবার ভবানীপুরে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন সুকান্ত। বৃহস্পতিবারও একই ঘটনা ঘটল।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্র থেকে বের হতেই তৃণমূলের লোকজন লাঠি-রড-ইট দিয়ে মেরে মানসের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মাস দু’য়েক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। কিছু দিনের মধ্যে তাঁর ফের শরীর খারাপ হয়। আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বুধবার ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬১ বছরের মানসের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy