কমছে বিজেপি, বেড়েছে তৃণমূল। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সমস্ত জল্পনার অবসান। বড়সড় ব্যবধানে ভবানীপুরে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের শতাংশও এক লাফে ১৫ শতাংশ বেড়ে গেল।
বিধানসভা ভোটে যে ভবানীপুরে তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যবধান ছিল ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের, পাঁচ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে সেই ব্যবধান লাফিয়ে বেড়ে হল ৫৮ হাজার ৮৩৫। শোভনদেব পেয়েছিলেন মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৭.৭১ শতাংশ, সেখানে উপনির্বাচনে মমতা পেলেন ৭১.৯১ শতাংশ ভোট। সব মিলিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার জয়জয়কার।
ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে মমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই প্রিয়ঙ্কা, যিনি এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে হেরেছিলেন ৫৮ হাজার ২৫৭ ভোটে। উপনির্বাচনে মমতার কাছে হারলেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভবানীপুরে মোট ভোট পড়েছে ১,১৭,৮৭৫টি। পোস্টাল ব্যালট ৭০২টি। তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৪,৭০৯ ভোট, পোস্টাল ব্যালট পেয়েছেন ৫৫৪টি। অর্থাৎ মমতা মোট পেয়েছেন ৮৫,২৬৩ ভোট। শতাংশের নিরিখে ৭১.৯১। অন্য দিকে মমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ময়দানে থাকা বিজেপি-র প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬,৩২০ ভোট এবং পোস্টাল ব্যালটে ১০৮ ভোট, মোট ২৬,৪২৮টি ভোট। অর্থাৎ ২২.২৯ শতাংশ।
যেখানে এপ্রিল মাসের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব পেয়েছিলেন ৭৩,৫০৫ ভোট। অর্থাৎ ৫৭.৭১ শতাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি পেয়েছিলেন ৪৪,৭৮৬টি ভোট অর্থাৎ ৩৫.১৬ শতাংশ। পাঁচ মাসের ব্যবধানে একই কেন্দ্রে ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে আরও কমেছে বাম। যদিও বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট থাকায় ভবানীপুরে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫,২১১ ভোট অর্থাৎ ৪.০৯ শতাংশ। উপনির্বাচনে বাম প্রার্থী পেলেন মাত্র ৪,২০১ অর্থাৎ ৩.৫৬ শতাংশ ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy