প্রতীকী ছবি।
জঙ্গলমহলে দলীয় সাংসদদের টাকা খরচে সন্তুষ্ট নয় তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বিশ্লেষণে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া পিছিয়ে রয়েছে অনেকটাই। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও এই কাজ থমকে রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে পড়ে থাকা প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা খরচ করা নিয়ে দলীয়স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগেই এই কাজ সেরে ফেলতে বিশেষ তৎপরতা চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যসভার তহবিলের মতোই লোকসভার সাংসদ তহবিলের খরচে এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল।
নির্বাচনী বিধির কারণে পঞ্চায়েত ভোটর ঘোষণার পর থেকেই নতুন সরকারি প্রকল্পের কাজ হয়নি। এবার লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই তা দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছেন তাঁরা। তৃণমূলের সংসদীয় দলের উপনেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘আমাদের সাংসদদের প্রায় সকলেই অনুমোদিত টাকার পুরনোটাই খরচ করে ফেলেছেন। দু’এক জন করতে পারেননি। তবে তাঁদেরও এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।’’ বৃহস্পতিবার দলের সভায় সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজ সেরে ফেলার কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৪ থেকে ১৯ পর্যন্ত মেয়াদকালে রাজ্যের ৪২ সাংসদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১০৫০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ৭২৫ কোটি অনুমোদন করে দিয়েছে। এ রাজ্যে অবশ্য লোকসভার সাংসদদেরা তহবিলের টাকা খরচে খুব একটা পিছিয়ে নেই। তৃণমূলেরও বেশিরভাগ সাংসদ সেই টাকা খরচের কাজ সেরেই ফেলেছেন। তবে ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সোরেনের কেন্দ্রে এই টাকা খরচের পরিমাণে দল সন্তুষ্ট নয়। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানেরও এলাকায়ও সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে খামতি রয়েছে। বেশিরভাগ তৃণমূল সাংসদেরই বরাদ্দ টাকার সিংহভাগ করচ হয়ে গিয়েছে। তিন থেকে পাঁচ কোটির টাকার মতো অব্যবহৃত রয়েছে তাঁদের। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তা খরচ করে ফেলতে হবে। পড়ে থাকা এই অর্থের মধ্যে আগের মেয়াদের বরাদ্দও রয়েছে। শুধু এলাকার উন্নয়ন তহবিলই নয়, লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংসদদের নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল।
শুধু সাংসদ তহবিলই নয়। রাজ্য সরকার উন্নয়নে যে অর্থ পঞ্চায়েত ও পুরসভার মাধ্যমে খরচ করে এবার তারও কিছু নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করতে চায় শাসকদল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy