আরজি কর নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গ সমাজমাধ্যমে তুলে ধরল তৃণমূল। —ফাইল ছবি।
চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে আরজি কর হাসপাতালে এক যুবকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে এ বার প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এ প্রসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিন আগেকার প্রতিক্রিয়ায় প্রসঙ্গ তুলে ধরা হল সমাজমাধ্যমে।
সোমবার তৃণমূলের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কোন্নগরের মৃত যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের মায়ের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। শুরুতেই তুলে ধরা হয়েছে সদ্য সন্তানহারা জননীর বক্তব্য— ‘‘চিকিৎসার অভাবে আমার ছেলে মারা গিয়েছে।’’ এর পরে লেখা হয়েছে, ‘‘কোন্নগরের শোকার্ত মায়ের হৃদয়বিদারক কথা, যাঁর ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মর্মান্তিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন, প্রতিবাদের বেদিতে নিরপরাধ মানুষের জীবন কখনওই বলি দেওয়া উচিত নয়।’’
সেই সঙ্গে তৃণমূলের ওই পোস্টে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বার্তা, ‘‘আমাদের কখনওই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের প্রাথমিক দায়িত্ব জীবন বাঁচানো। অবহেলার কারণে মৃত্যু ঘটতে না দেওয়া!’’ প্রসঙ্গত, কোন্নগরের যুবক বিক্রম শুক্রবার লরি দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন। প্রথমে তাঁকে শ্রীরামপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে রেফার করা হয়। বিক্রমের মা কবিতার অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জরুরি বিভাগ এবং আউটডোরের মধ্যে শুধু দৌড়ে বেরিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। কোথাও কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।
তিন ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে বিক্রমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে কবিতা বলেন, ‘‘কোনও চিকিৎসক আসেননি। এক জন গুরুতর আহত রোগীকে কোনও পরিষেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল। একটা ডাক্তার নেই। আমার ছেলেটা চোখের সামনে চিকিৎসা না পেয়ে তড়পে তড়পে মরেছে। শেষে হার্ট ফেল করল।’’ আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে যখন দৈনিক নাগরিক আন্দোলন চলছে, তখন ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন মা কবিতা। তার এর পরেই ওই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। শুক্রবারই অভিষেক সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ন্যায্য। তবে তাঁদের এমন ভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাই, যাতে পরিষেবা ব্যাহত না হয়।’’ অভিষেকের সেই মন্তব্যকেই এ বার সমাজমাধ্যমে তুলে ধরে সমাজমাধ্যমে প্রচারে নামল তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy