আরজি করে সিআইএসএফ আধিকারিকেরা। —ফাইল ছবি।
এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হামলার অভিযোগ উঠল! সোমবার আরজি কর চত্বরে ছাত্রদের হস্টেলে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে টালা থানায় এ বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ অগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির সময় আরজির হাসপাতালের জরুরি বিভাগ-সহ কিছু অংশে ভাঙচুর চালিয়েছিল বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। এর পরে গত ২০ অগস্ট হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরের দিনই সিআইএসএফের আধিকারিকেরা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, ২২ অগস্ট থেকে আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীটির দু’টি কোম্পানিকে। সেনা বা আধাসেনার এক কোম্পানি বাহিনীতে সাধারণত ৮০ থেকে ১২০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকেন। তাঁদের মধ্যে সক্রিয় থাকেন ৭০ জন। বাকিরা অন্যান্য কাজে নিযুক্ত থাকেন। এ ক্ষেত্রে, দুই কোম্পানি বাহিনী হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত বলেই জানানো হয়েছিল বাহিনীর তরফে। কিন্তু সোমবার ছাত্র হস্টেলে ভাঙচুরের অভিযোগ নতুন করে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে তুলে দিল প্রশ্ন।
ঘটনাচক্রে, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে ইতি টানার নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি শীর্ষ আদালত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে বলেছে সরকারকে। সোমবার আরজি করে তদন্তে গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভের মধ্যেও পড়তে হয় সিবিআই তদন্তকারী দলকে। আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগস্ট এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই কর্মবিরতি পালন করছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তারেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy