শতাব্দী রায় এবং অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা বড় মাত্রা নিল শুক্রবার। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় জানালেন, শনিবার সকালেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাঁর? এমন প্রশ্নের জবাবে আনন্দবাজার ডিজিটালকে ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব দিলেন শতাব্দী। বললেন, ‘‘অমিত শাহ আমার পরিচিত। সংসদে গেলে দেখা হয়। তাই কালও দেখা হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। আর দেখা হওয়া মানেই আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি এমনটা নয়।’’
দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আগেই তিনি জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ২টোয় ফেসবুক লাইভ করে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তখন থেকেই শতাব্দী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু শুক্রবার তিনি জানান, অন্য সিদ্ধান্তও হতে পারে। কী সেই সিদ্ধান্ত? শতাব্দী বললেন, ‘‘আজকের দিনটা নিজেকে সময় দিয়েছি। নিজের কাছেই নিজের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। যা সিদ্ধান্ত জানানোর শনিবারই জানাব।’’
আরও পড়ুন: ‘নতুন সিদ্ধান্তে’র পথে, ইঙ্গিত এ বার শতাব্দীর
গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয় আরও সাংসদ বিজেপিতে যেতে পারেন। সেই সময় শতাব্দীর নাম শোনা গেলেও পরে বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-তে তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু ক’দিন কাটতে না কাটতেই অন্য স্বর শতাব্দীর মুখে। এ নিয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘এটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এক দল ছেড়ে অন্য দলে কেউ যেতেই পারেন।’’
এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই রাজধানী গিয়েছেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। শুক্রবার সকালে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেই সময়ে, অর্থাৎ শনিবার সকালে দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী। মুকুলদের সঙ্গেও কি দেখা করবেন তিনি? এর জবাবে শতাব্দী বলেন, ‘‘দেখা হলেও হতে পারে। এখনও কিছু ঠিক নেই।’’
আরও পড়ুন: মতুয়া-পাড়ায় শাহের আগে প্রচারে তৃণমূল
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব’-এর পেজে তাঁর নামে একটি বয়ান প্রকাশিত হয়েছে। যার শিরোনাম ‘বীরভূমে আমার নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের প্রতি’। ওই ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে, বীরভুমের মানুষ শতাব্দীকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাইলেও তাঁকে কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানানোই হয় না। তাই ‘নতুন সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার ইঙ্গিতও ওই পোস্টে দিয়ে দিয়ে রেখেছেন শতাব্দী। আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ২টোয় তিনি ওই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও ঘোষণা করেন। সেই সময়ে দিল্লিতেই থাকছেন শতাব্দী। ফলে রাজধানী থেকেই তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান ঘোষণা করবেন।
এখনও দল ছাড়ার কথা না বললেও এটা ঠিক যে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পদত্যাগের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া যায় না। নিজের লোকসভা এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি না। বহু কর্মসূচি থেকেই আমায় বাদ দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy