Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Satabdi Roy

‘১৪ বছর ধরে কর্মীদের বাড়িতে খাই’, ভাত ফেলে উঠে যাওয়া বিতর্কে জবাব সাংসদ শতাব্দীর

শুক্রবার বীরভূমে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দেন শতাব্দী রায়। এক কর্মীর বাড়িতে তাঁর খাওয়ার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, খেতে বসে ছবি তোলার পর উঠে যান তিনি। সেই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন শতাব্দী।

শুক্রবার বীরভূমে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে ছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন।

শুক্রবার বীরভূমে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে ছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১৫
Share: Save:

তিনি বহু বছর ধরে দলীয় কর্মীদের বাড়িতে খেয়ে আসছেন। দলীয় কর্মীর বাড়িতে মাংসভাত ফেলে উঠে যাওয়া বিতর্ক নিয়ে এমনটাই জবাব দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের দু’জনেরই।

শুক্রবার বীরভূমে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন শতাব্দী। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচির পর বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে আয়োজন করা হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজের। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, এঁচোড়ের তরকারি, খাসির মাংস এবং মাছ। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন শতাব্দীও। কর্মসূচির পর সেখানে গিয়েছিলেন ওই তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে এসেছে সেই সময়ের ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের অনুরোধে খেতে বসেছিলেন শতাব্দী। সাংসদকেও শালপাতার থালায় সব পদই দেওয়া হয়েছিল খাওয়ার জন্য। কিন্তু নিজের আসনে বসে দু-একটি ছবি তোলার পরেই না-খেয়ে তিনি উঠে পড়েন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শতাব্দী। তৃণমূল সাংসদের কথায়, ‘‘গত ১৪ বছর ধরে আমি কর্মীদের বাড়িতে খাই। কালকে দিদির সুরক্ষা কবচকে কেন্দ্র করে খেয়েছি-খাইনি এই যে বিতর্কের প্রশ্নই নেই। কারণ ১৪ বছরে ধরে আমি মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াই। প্রতিটি কর্মীর বাড়িতেই খাই। এটা নতুন কিছু নেই। কালকেও খেয়েছি।’’

শতাব্দীর পাশে বসে কুণাল বিঁধেছেন বিজেপিকে। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপির মনে রাখা উতিত শতাব্দী রায় তিন বারের সাংসদ। তাঁকে দিনরাত ওই জেলায়, ওই গ্রামে থাকতে হয়। তার আগে তিনি এক জন নায়িকা, অভিনেত্রী। দিনের পর দিন উনি শুটিং করেছেন। শতাব্দী রায়কে যদি কেউ বলে গ্রামের বাড়িতে খাননি। তার থেকে সস্তা, কুৎসিত অপপ্রচার আর কিছু হয় না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Satabdi Roy TMC controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy