শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর— বৃহস্পতিবার এই চার পুরসভায় মোট ২২৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কালীঘাটে সন্ধ্যা নাগাদ একটি বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। তার পরই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই গঙ্গাসাগর থেকে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরেই তিনি প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ঠারেঠোরে অবশ্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন অনেকে দেরিতে, তবু সেই নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। মজার ব্যাপার হল, এখানে উপনির্বাচনে করোনা সবাই ভুলে গেল।’’ তাঁর মত, ‘‘মনে হয় এখন সময় হয়েছে বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করে নির্বাচন হবে কি না, উৎসব হবে কি না তা ঠিক করা হোক।’’
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
তবে তৃণমূল মনে করছে, বিজেপি হেরে যাবে বলেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছে। এমনিতেই দীর্ঘ দিন ধরে পুরসভাগুলিতে প্রশাসকমণ্ডলী কাজ চালাচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই পুরসভাগুলিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আনা জরুরি। এর ফলে করোনা মোকাবিলায় পুর কাজকর্মে আরও গতি আনা যাবে বলে মনে করছে দল। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, "শুধুমাত্র শিলিগুড়িতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই ‘বিদ্রোহ’ শুরু হয়েছে। বাকিগুলির তালিকা প্রকাশ হলে পরিস্থিতি কোথায় যাবে, তা ভেবেই দিলীপ ঘোষরা শঙ্কিত। তাই তাঁরা পুরভোট পিছোতে চাইছেন।"
যদিও দিলীপ ঘোষ এই ‘বিদ্রোহ’ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘অনেকেই হতাশ হয়ে যান। ভাবেন, আমার টিকিট পাওয়া উচিত ছিল। না পেয়ে তাঁদের মনে মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিন্তু পার্টি একটা সিস্টেমে চলছে। কোনও ব্যক্তিকে দেখে বা কারও পচ্ছন্দ মতো পার্টি চলবে না।’’