—ফাইল চিত্র।
শুধু দলের সমর্থক নয়। জনসংযোগের কর্মসূচিতে নিজের এলাকার বিশিষ্টদের কাছে যেতে হবে তৃণমূলের বিধায়কদের। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের এই নির্দেশেই সিপিএম, বিজেপি বা কংগ্রেসের দরজায় কড়া নাড়ছে শাসকদল।
তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিধানসভা পিছু বিশিষ্টদের তালিকা দিয়েছে ‘টিম প্রশান্ত।’ দলীয় বিধায়কদের বলা হয়েছে, সেই বিশিষ্টদের পরামর্শ নিয়েই এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে হবে। যেখানে দলের বিধায়ক নেই, সেখানে অন্য স্তরের জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বহু জায়গায় সেই বিশিষ্টদের নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের বিধায়কেরা। কারণ বহু ক্ষেত্রেই সেই বিশিষ্টদের তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলের সমর্থক, সক্রিয় কর্মী বা স্থানীয় স্তরের নেতারা। ফলে সেই বিরোধীদের সাক্ষাৎ পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন এই সব কেন্দ্রের বিধায়ক বা অন্য জনপ্রতিনিধিরা। নিজের এলাকার এই রকম বিশিষ্টের দেখা পেতে সিপিএমের এক সভা ভাঙার অপেক্ষা করতে হল গ্রামীণ হাওড়ার এক বিধায়ককে। কারণ তাঁর কেন্দ্রে প্রশান্তের চিহ্নিত ওই বিশিষ্ট এলাকার সক্রিয় সিপিএম নেতা।
জনসংযোগের এই ব্যতিক্রমী পথে ধাক্কা খেয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর এলাকার সক্রিয় চার সিপিএম কর্মীর সঙ্গে দেখা করেই এই কর্মসূচির জন্য পরামর্শ চাইতে বলা হয়েছে ওই বিধায়ককে। কিন্তু বারবার ফোন করেও তাঁদের সময় পাননি ওই বিধায়ক। একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন নদিয়ার দুই বিধায়ক। সদ্য পেরিয়ে আসা পঞ্চায়ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এমন এক বিরোধীই তাঁর এলাকার বিশিষ্ট। এইরকম এক বিজেপি ও এক সিপিএম সমর্থকের পরামর্শ নিতে হয়েছে নদিয়ার ওই বিধায়ককে।
এ সবের মধ্যে জনসংযোগের দ্বিতীয় দফার প্রস্তুতি শুরু করেছেন প্রশান্ত ও তাঁর সহযোগীরা। প্রত্যেক সপ্তাহে নিজের প্রতিনিধি কলকাতায় পাঠিয়ে পরবর্তী নির্দেশ নিতে বলা হয়েছে তৃণমূল বিধায়কদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy