মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
প্রথম থেকেই দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে সেই দূরত্ব। আর এ বার করোনা ও আমপান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জেলার একাধিক ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন জেলা কমিটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ তথা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে জেলায় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতারা সেই অসন্তোষ চেপে রাখেননি। রবিবার রাতেই তেহট্টের বিধায়ক তথা অবিভক্ত জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তথা অবিভক্ত জেলা কমিটির প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি কল্লোল খাঁ দলের রাজ্য সভাপতি ও মহাসচিবকে ফোন করে তাঁদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এত বড় একটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, অথচ তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। আর এই বিষয়টা সামনে আসার পরই দলের একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলের এক কর্মী বলেন, ‘‘এই মানুষগুলোকে সামনে রেখে আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছি। এই নেতারাই এক দিন আমাদের বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। এখন তাঁদের এ ভাবে অপমান আমরা কোনও ভাবেই মানব না।’’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, একেবার প্রথম থেকেই কল্লোল খাঁ, গৌরীশঙ্কর দত্ত, উজ্জ্বল বিশ্বাস, অবনীমোহন জোয়ারদার, রুকবানুর রহমানদের মতো নেতাদের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে মহুয়ার। এর আগেও চাপড়ার ব্লক যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে রুকবানুরের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চরম আকার নিয়েছিল। এমনকি ছাত্র সংগঠনের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়েও একই ভাবে বিবাদ সামনে চলে আসে তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তর সঙ্গেও। ব্লক নেতৃত্বে পরিবর্তন করতে গিয়ে কল্লোলের সঙ্গেও তিনি বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
আবার জেলা কমিটিতে সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে আছেন বলে দাবি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশের। জেলা কমিটি তৈরি হলেও পুরনো নেতাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি বলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে কল্লোল বলেন, “ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করতে গেলে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন লাগে। রাজ্য নেতৃত্ব কোনও অনুমোদন দেননি জানি।” আবার গৌরীশঙ্কর বলেন, “আমাদের অসন্তোষের কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি।”
এ দিনও ফোন করে মহুয়াকে পাওয়া যায়নি। জেলার পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা দলের সিদ্ধান্ত। আলোচনার মাধ্যমেই ২০২১ সালকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy