—ফাইল চিত্র।
গরু পাচারের তদন্তে নেমে যুব তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রের বাড়ি ও দফতরে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। ওই তল্লাশি এবং আগের বেশ কিছু তল্লাশিতে পাওয়া নথি ঘেঁটে তাঁদের দাবি, পাচারের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু জেলার কয়েকটি থানায় ‘পোস্টিং’ দেওয়ার নামে মোটা টাকা তুলতেন বিনয় এবং তাতে ভূমিকা ছিল গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রধান দুই অভিযুক্ত এনামুল হক ও অনুপ মাঝি ওরফে লালার। বিনয় এবং লালা বর্তমানে দেশছাড়া বলে সিবিআই জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘এ রকম কিছু জানি না। তা ছাড়া, সরকারের দৈনন্দিন কাজে দল হস্তক্ষেপ করে না। সরকার যেখানে যেমন ভাল মনে করে, তেমন করে। ’’
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, লালার বাড়ি-অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথি থেকে এবং গরু পাচার কাণ্ডে এনামুলকে দফায় দফায় জেরা করে তাঁরা জানতে পেরেছেন, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, বীরভূম ও পুরুলিয়ায় বেশ কিছু থানা এলাকায় ‘প্রভাব’ ছিল বিনয়ের। গরু ও কয়লা পাচারের তদন্তে এ যাবৎ পাওয়া নথি থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ‘পাচারে জড়িত’ প্রায় ১০০ পুলিশ অফিসারের নাম জানতে পেরেছে বলেও দাবি করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, স্থানীয় পুলিশের একাংশের ‘সাহায্য’ ছাড়া পাচার সম্ভব নয়। আর এই কাজে সাহায্যের বিনিময়ে মোটা আর্থিক সুবিধা মিলত। ফলে ওই সব এলাকায় যাওয়ার জন্য পুলিশ মহলের কেউ কেউ আগাম মোটা টাকা দিতেও পিছপা ছিলেন না।
সিবিআইয়ের দাবি, ওই সব থানা এলাকায় ‘পোস্টিং’ পাইয়ে দেওয়ার নামে বিনয় যে টাকা (সিবিআইয়ের দাবি, থানা পিছু আগাম পাঁচ লক্ষ এবং পরে আরও পাঁচ লক্ষ) তুলতেন বলে অভিযোগ, তার একাংশ এক ‘প্রভাবশালী’ নেতার কাছে যেত। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে জেলায় জেলায় পুলিশে কিছু রদবদলের পিছনে এমন কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও সিবিআই দেখছে বলে দাবি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy