মলয় ঘটক। — ফাইল চিত্র।
বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি যথেষ্ট ‘সরব’ নন— শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে কয়েক মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছিল দলেরই একাংশ। এ বার সমাজমাধ্যমে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ছড়াল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, তৃণমূল ছেড়ে মলয় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না জানতে আসানসোলে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমান দলের কিছু কর্মী-সমর্থক।
বুধবার মলয় অবশ্য সমাজমাধ্যমে বার্তা দেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। তাঁর দল ছাড়ার মিথ্যা প্রচার যাঁরা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন।
মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার এক বিজেপি নেতা সমাজমাধ্যমে দাবি করেন, ‘আজ আসানসোল থেকে দিল্লিতে যোগদান’। পরে তা মুছেও দেন। তবে তার মধ্যেই মলয়কে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের একাংশের দাবি, ফেব্রুয়ারির গোড়ায় কলকাতায় দুই বর্ধমানের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে মলয়ের কাছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, কেন তিনি তাঁর বক্তব্যে বিজেপিকে যথেষ্ট আক্রমণ করছেন না? এর পর থেকে মলয়ের সভায় বক্তৃতার ভিডিয়ো তাঁকে পাঠানোর নির্দেশও দেন বলে দাবি। মলয় যদিও দাবি করেছিলেন, তিনি ভাষণে সব সময়েই বিজেপিকে নিশানা করেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দুর্গাপুরে এসে মমতা জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কারও নাম না করে বার্তা দেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত থেকে বাঁচতে যদি কেউ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তিনি ভুল করছেন। এ সব বরদাস্ত করা হবে না। জেলা তৃণমূলের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘পশ্চিম বর্ধমানের কোন নেতাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বার বার ডেকেছে, সবাই জানেন।’’
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে মলয়ের বিজেপি-যোগের জল্পনা ছড়ায়। লোকসভা ভোটে প্রার্থিপদ ও মন্ত্রিত্বের দাবি, আসানসোল পুরবোর্ডের ক্ষমতা দখল নিয়ে আলোচনার জল্পনাও তৈরি হয় বিজেপির একাংশে। তবে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যে থেকে বা রাজ্যের বাইরে গিয়ে গভীর রাতে তৃণমূলের অনেক নেতাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তবে ওঁর (মলয়) বিষয়ে আমাদের কাছে খবর নেই।’’
বুধবার মলয়কে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। জবাব দেননি মেসেজেরও। তবে সমাজমাধ্যমে জানান, তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে। এই চক্রান্তের পিছনের লোকজনের মুখোশ অচিরেই খুলে যাবে। বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী ছিলেন, আছেন ও আজীবন থাকবেন।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy