Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Fraud

Fraud: চাকরি দিতে দাবি ১২ লক্ষ, মামলা

গত ২০ জুন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন ওই তরুণী। সেখানে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় তৃণমূলের জলপাইগুড়ির বিদায়ী জেলা

প্রতীকী ছবি।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২ ০৫:২৫
Share: Save:

টেট পাশ করা এক তরুণীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১২ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের এক নেতা এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গত ২০ জুন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন ওই তরুণী। সেখানে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় তৃণমূলের জলপাইগুড়ির বিদায়ী জেলা কমিটির সদস্য তথা ট্রাক মালিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ এবং এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ৪ জুলাই একই নালিশ জানানো হয়জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) এজলাসে। সে দিনই জেলা আদালতের সিজিএম শৈবাল দত্ত কোতোয়ালি থানাকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত অভিযোগকারিণীকে ডেকে কথা বলেছেন।

সঞ্জীব ঘোষের বক্তব্য, “আমাকে মিথ্যে ফাঁসানো হচ্ছে। যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা আমার কাছে টাকা ফেরত চাইতে এসেছিলেন। তার পর আমাকে ফাঁসানো হল।”যে শিক্ষককে টাকা দেওয়া হল, তাঁকে কি চিনতেন— এই প্রশ্নের জবাবে সঞ্জীব বলেন, “জলপাইগুড়ি ছোট শহর। সকলেই সকলকে চেনে। আমার শ্যালিকার অঙ্গনওয়াড়ি এবং আমার ছেলের খাদ্য দফতরে চাকরির জন্য আমিও ওই শিক্ষককে টাকা দিয়েছি। আমিও থানায় অভিযোগ করেছি।” তৃণমূল নেতা হয় চাকরির জন্য টাকা দিলেন? সঞ্জীবের উত্তর, “বুঝতে পারিনি।”

জলপাইগুড়ির গোমস্তপাড়ার ওই তরুণী বধূ জানান, তিনি ২০১২ সালে এবং ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের টেট পাশ করেন। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে সঞ্জীব ঘোষ তাঁকে চাকরির আশ্বাস দেন বলেঅভিযোগ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে টাকার প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রায় চার লক্ষ টাকা এক শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় বলেও অভিযোগকারীর দাবি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষকের সঙ্গে সঞ্জীববাবুই তরুণীর

আলাপ করিয়ে দেন। অভিযোগকারী সূত্রে দাবি, দীর্ঘদিন চাকরি না পেয়ে বধূ টাকা ফেরত চান, তখন তাঁকে যে চেকটি দেওয়া হয় সেটি ‘বাউন্স’ করে। ওই তরুণী বলেন, “সঞ্জীব ঘোষ আমাদের আত্মীয়। কিন্তু এখন নিজেকে বিপর্যস্ত মনে হচ্ছে। যে ভাবে আদালতের নির্দেশে ববিতা সরকার চাকরি পেয়েছেন, সে পথে আমিও লড়তে চাই।” তাঁর আইনজীবী সুব্রত সরকার বলেন, “প্রথমে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ অভিযোগ নিয়েছিল। কিন্তু তদন্ত শুরু হয়েছে কি না, জানতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হই।” জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “অভিযোগ দায়েরের পরে প্রথম দিনই তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’জনের নামে অভিযোগ রয়েছে। মামলা রুজু হয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy