প্রাথমিকে ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। ফাইল ছবি।
বহু ছাত্রছাত্রীর থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলেছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনই দাবি করলেন প্রাথমিকে ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। বুধবার বেলার দিকে নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান তিনি। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বেরোনোর সময় তাপস দাবি করেন, তৃণমূল নেতা যে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ টাকা তুলেছিলেন, তার কিছু তথ্যপ্রমাণ তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার তাপস এবং ওই তৃণমূল নেতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে বেরিয়ে তাপস দাবি করেন, শাসকদলের ওই যুব নেতার কথা আগেই সিবিআইকে বলেছিলেন তিনি। ওই নেতাকে যাতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তার আর্জিও জানিয়েছিলেন। মানিক ঘনিষ্ঠের কথায়, ‘‘বহু ছাত্রছাত্রীর থেকে জানতে পেরেছি, ওঁরা তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েছেন। সেটার একটি হিসাব আমি সিবিআইকে দিয়েছিলাম। আজ কিছু নথি দিয়ে এলাম। সব মিলিয়ে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।’’ যদিও ওই টাকা তৃণমূল নেতা কোথায় পাঠিয়েছেন, তা তিনি জানেন না বলেই তাপস দাবি করেছেন।
এই প্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, বিষয়টি যে হেতু এখনও বিচারাধীন এবং সিবিআই এর তদন্ত করছে তাই এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কোনও মন্তব্য করলে তা আইনের চোখে ভাল দেখাবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনও ব্যক্তি সিবিআইয়ের সামনে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে থাকেন, তা হলে তাঁকে গোয়েন্দারা এত সহজেই ছেড়ে দেবে? ওই নেতার দাবি, ‘‘আমরা সকলেই জানি, ইডি তাদের তদন্ত রিপোর্টে কী দাবি করেছে। কী ভাবে তাপস মণ্ডল সক্রিয় ভাবে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি ষড়যন্ত্রকে কেলেঙ্কারির রূপ দিয়েছেন। এমনকি, ইডি আদালতেও জানিয়েছে যে, তাপস মণ্ডলকে ছাড়া একা মানিক ভট্টাচার্যের পক্ষে এ রকম কেলেঙ্কারি করা এক প্রকার অসম্ভব। সেই ব্যক্তির দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।”
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারিও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে অবশ্য তাঁকে একাধিক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইডি-র চার্জশিটে তাপস অভিযুক্ত। প্রথম থেকেই তাঁর দাবি, ডিইএলএড কোর্সে পড়ুয়াদের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মানিককেও জড়িয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই তাপস বলেন, ‘‘ইডির কাছে যা বলেছি, সিবিআইকেও সেটাই বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy