প্রতীকী ছবি।
দল বদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়তো সময়ের অপেক্ষা। হয়নি। কিন্তু তার আগেই তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে ডাক পেলেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর!
আগামী ২৫ অক্টোবর নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দুলালবাবুকে সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। হাজার তিনেক কর্মীর উপস্থিতিতে ওই বৈঠকেই দুলালকে তৃণমূলে টানার চেষ্টা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত।
কংগ্রেসে যাওয়ার আগে তৃণমূলের টিকিটেই বিধায়ক হয়েছিলেন দুলালবাবু। তৃণমূলে তাঁর পরিচিতি ছিল মুকুল রায়ের অনুগামী হিসাবেই। এখন মুকুল পুরনো দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ফেলার পরে কারা তাঁর দিকে পা বাড়াতে পারেন, সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে তৃণমূল। সেই নজরদারির মধ্যে শুধু তৃণমূলের অন্দর মহলই নয়, মুকুলের গোটা ঘনিষ্ঠ বৃত্তই রয়েছে। তৃণমূলের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়েই দুলালবাবু ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। খাতায়-কলমে এখনও কংগ্রেসের বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও তাঁকে তৃণমূলের বৈঠকে ডাকার মাধ্যমে বিক্ষুব্ধদেরই বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক শিবিরের অনেকে।
বাগদার বিধায়ক অবশ্য বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তাঁকে তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন ইতিমধ্যে। কংগ্রেসের ঘরে থেকেই তিনি বলেছেন, এলাকায় নিচু তলার কর্মীরা তৃণমূল হয়ে গিয়েছেন। কী করে তিনি এখনও কংগ্রেসের বিধায়ক আছেন, তা তিনিই জানেন! তবে এ দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আর কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দুলাল বৈঠকে ডাক পাওয়ার বিষয়টি আমাদের জানাননি। যাঁরা ডাকছেন, তাঁরা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দিচ্ছেন। আর যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরাও দাসত্ব করতেই যাচ্ছেন!’’ দুলাল ওই বৈঠকে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মনোজবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy