রবিবার মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে নিয়ে প্রচারে ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে, ৩৯ জন কাউন্সিলর বাদ পড়ে গিয়েছেন। যদিও, শনিবার সন্ধ্যা ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থীকে সরিয়ে আবারও টিকিট দেওয়া হয়েছে বিদায়ী কাউন্সিলর কাইজার জামিলকে। তাই টিকিট না পাওয়া কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮। আর এই কাউন্সিলরদের টিকিট না পাওয়ার কারণ জানালেন প্রাক্তন মেয়র তথা বিদায়ী পুরবোর্ডের পুরপ্রশাসক তথা পুরভোটের প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। বাদ পড়ে দুই বিদায়ী কাউন্সিলর কংগ্রেসের প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কংগ্রেস সম্পর্কে এখন যত কম বলা যায় ততই ভাল। সমীক্ষায় যাঁরা জনসমর্থন হারিয়েছেন, দল তাঁদেরই প্রার্থী করেনি। আসলে তাঁদের মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। মানুষ যাঁদের উপর রেগে আছেন বা যাঁরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ করেছেন, তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস এখন তৃণমূলের যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁদের প্রার্থী করছে। তা হলে বোঝাই যাচ্ছে, কংগ্রেস কী ভাবে বেঁচে থাকতে চাইছে। তাই যাঁরা কংগ্রেসে যাচ্ছেন, তাঁরা ল্যাংড়া প্লেয়ার। আমাদের সাইডলাইনে ফেলে দেওয়া প্লেয়ার নিয়ে ওরা মাঠে নামতে চাইছে।’’ যদিও, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন বিদায়ী তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর পার্থ মিত্র। ফিরহাদের মধ্যস্থতাতেই তিনি আবারও দলে ফিরলেন রবিবার।
প্রসঙ্গত এ বারের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের সীতা জয়সোয়ারা এবং পুষ্পালী সিংহ। এছাড়া বাদ গিয়েছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রণতি ভট্টাচার্য, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধন সাহা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্মিতা বক্সি, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সুনন্দা গুহ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের স্বপ্না দাসের মতো কাউন্সিলররা। বয়সজনিত কারণে সত্যেন্দ্রনাথ দে-র নামও নেই প্রার্থী তালিকায়। তিনি ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। বাদের তালিকায় রয়েছেন ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্চিতা মণ্ডল, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল আহমেদ, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের রতন মালাকার, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্জুশ্রী মজুমদার এবং ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে রতন দে। বাদ পড়েছেন ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের অর্চনা সেনগুপ্ত, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের সুস্মিতা দাম, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধুমিতা চক্রবর্তী, ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকা মণ্ডল, ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিপ্রা ঘটক, ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তপসিরা বেগম, ১৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আফতাবউদ্দিন আহমেদ এবং ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মমতাজ বেগম। মমতাজ আবার কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ওই আসনেই প্রার্থী হয়েছেন।
৩৯ জন কাউন্সিলর টিকিট না পেলেও আবারও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে ফিরহাদকে। তাই প্রথম রবিবার ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়েই প্রচারে নামলেন তিনি। চেতলার বাড়ি থেকে শুরু করা প্রচার কর্মসূচিতে সঙ্গে নিলেন কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিমকে। মূলত চেতলা অঞ্চলেই প্রচার করেন তাঁরা। কোথাও হাত নেড়ে, কোথাও দাঁড়িয়ে, কোথাও আবার প্রণাম করে বা আম জনতার সঙ্গে গল্প করে প্রচার চালালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy