ধৃত শুভদীপ মালিক। —নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগে ধৃত তিন জন অতীতেও একই কাজ করেছেন! অতীতেও শাসকদলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের ফোন করে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই এক উপপ্রধান। ঘটনাচক্রে, ধৃতদের তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে। তার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি। ধৃতেরা শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় বলেই দাবি তাঁদের পরিবারের।
অভিষেকের নাম করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধানকে হুমকি এবং তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয়েছেন তিন জন। ধৃতদের নাম ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা।কলকাতায় এমএলএ হস্টেল থেকে তাঁদের পাকড়াও করেছিল শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।
ধৃতদের অন্যতম শুভদীপের বাড়ি তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। পরিবারের দাবি, শুভদীপ পেশায় গাড়িচালক। চার বছর ধরে ওই কাজ করেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে শুভদীপ কলকাতায় এক ব্যক্তির গাড়ি চালাচ্ছিলেন। থাকতেনও কলকাতায়। তবে কার গাড়ি চালাতেন, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে এক ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে শুভদীপকে কলকাতা নিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে সেখানেই তিনি গাড়ি চালাতেন। প্রায় প্রতিদিনই তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হত বাড়ির লোকেদের। কিন্তু গত দু’দিন ধরে শুভদীপের সঙ্গে তাঁরা কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে তারকেশ্বর থানা থেকে ফোন করে শুভদীপের গ্রেফতার খবর বাড়িতে দেওয়া হয়।
এ দিকে, নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মনিরুলের দাবি, তারকেশ্বর এলাকায় বছর দুয়েক আগে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে একাধিক নেতা-নেত্রীকে ফোন করে ভাল পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাতে শুভদীপের নাম জড়িয়েছিল বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান।
প্রসঙ্গত, এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে শুভদীপেরা ছিলেন, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামে ‘বুক’ করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। যদিও নিখিল বলেন, ‘‘হস্টেলের ঘর বুক করতে হয় বিধায়কের লেটারহেডে। আমি এ রকম কাউকে কোনও লেটারহেড দিইনি। হস্টেলের ঘর কী ভাবে বুক হল সেটা হস্টেল সুপার বলতে পারবেন। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। তৃণমূল তো নিজেই তোলাবাজি করে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy