ফাইল ছবি
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের চট-বিক্ষোভের মধ্যেই চট শিল্পকে হাতিয়ার করে রাজনীতির পারদ চড়াল শাসক থেকে বিরোধী। এ বার চট প্রশ্নে পথে নেমে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। বিধাননগরের জুট কমিশনারের অফিসের সামনে আগামী ৪ মে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তারা।
চটশিল্পের সঙ্কট নিয়ে মুখ খুলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন। এমনকি, তিনি যে ভাবে মোদী সরকারের বস্ত্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাতেও যে বরফ গলেনি, তার প্রমাণ মিলেছে অর্জুনের কথায়। তারই মধ্যে চটশিল্প নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের উপরেই চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে বামপন্থী এবং কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনগুলি। তারাও সোমবার যৌথ ভাবে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
সিটুর অনাদি সাহু, এআইটিইউসি-র দেবাশিস দত্ত, আইএনটিইউসি-র গণেশ সরকারেরা এ দিন চটশিল্পের দুরবস্থার জন্য কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এ বছর রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণ পাট উৎপাদন হলেও সরকারের উদাসীনতায় কৃত্রিম ভাবে পাটের অভাব তৈরি করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যার জেরে রাজ্যে প্রায় ২০টি জুটমিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্তত ৭০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হলেও তার প্রাপ্তি স্বীকার হয়নি বলে শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ।
শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, পাটজাত দ্রব্যের দাম বাঁধা এবং শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক নেতারা শ্রম আইন মানা, ২৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির ব্যবস্থা করা, নির্ধারিত হারে স্থায়ী ও বিশেষ নিযুক্তির চুক্তি মানা-সহ একাধিক দাবিতে তাঁরা দুই সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এই নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করেছেন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বামেদের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই তারা বিবৃতি দিয়েই স্বস্তি পায়! ওরা রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy