পুলিশ মিছিল আটকানোর পরে উত্তেজনা রাসবিহারী মোড়ে। ছবি: প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ।
শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে আরও সরগরম কলকাতা। বুধবার বিজেপি কর্মীদের শ্যামাপ্রসাদের মূর্তির কাছাকাছি পৌঁছতেই দেয়নি তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালে মূর্তি শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি নিয়ে ফের কেওড়াতলা মহাশ্মশান চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ফের আক্রান্ত হন তৃণমূলের হাতে। বাধা পেয়েই আরও বড় মিছিল নিয়ে লেক মার্কেটের সামনে থেকে কেওড়াতলা শ্মশানের দিকে এগোতে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। রাসবিহারী মোড়ে পুলিশ আটকে দেয় মিছিল।
সব মিলিয়ে সকাল থেকেই বড়সড় বিশৃঙ্খলার তৈরি হয় দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায়। কেওড়াতলায় সকালেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়েছিল। তার জেরে এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ দোকানপাট। উত্তেজনা ছড়ায় রাসবিহারী চত্বরেও।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হওয়ার পরে আরও বাড়ে উত্তেজনা। বড়সড় জমায়েতকে সঙ্গী করেই কেওড়াতলা শ্মশানের দিকে এগোন দিলীপ-লকেটরা। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্যাকেটে এবং কলসিতে করে দুধ ও গঙ্গাজল নিয়ে মিছিলে সামিল হন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের যে মূর্তি আক্রান্ত হয়েছিল বুধবার, সেই মূর্তিতে দুধ ও গঙ্গাজল ঢেলে তার শুদ্ধিকরণ করা হবে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়।
দেখুন ভিডিও:
ভিডিও: প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ।
আরও পড়ুন: শ্যামাপ্রসাদকে ঘা মমতার পাড়ায়
শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি করে এগোয় বিজেপির মিছিল। কিন্তু মিছিলকে রাসবিহারী মোড় ছাড়াতে দেয়নি পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় সেখানেই। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
আরও পড়ুন: শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে কে কী বললেন?
পরিস্থিতির অবনতি রুখতে রাসবিহারী এবং কেওড়াতলা চত্বরে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি ঘিরে এ দিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছেন, আগামী কাল গোটা রাজ্যে শ্যামাপ্রসাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy