পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় সিপিএমের মিছিলে ছোটরা (বাঁ দিকে)। ভাতারে তৃণমূলের মিছিলেও। —নিজস্ব চিত্র।
চিত্র ১: প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আর্জি নিয়ে মিছিল করছিল তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মাহাতায় সেই মিছিলের পুরোভাগে ব্যানার ধরে হাঁটছিল দুই নাবালিকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দশ-বারোর মেয়ে দু’টি আগাগোড়াই ছিল মঙ্গলবারের ওই মিছিলে।
চিত্র ২: বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে দলের প্রার্থী ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। সোমবার তাঁর সমর্থনে মিছিল হচ্ছিল এলাকায়। সেখানে পতাকা হাতে হাঁটতে দেখা যায় কয়েক জন কচিকাঁচাকেও।
চিত্র ৩: কাটোয়ার জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের মুস্থুলি গ্রামে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। সেখানেও তাঁদের সামনে দলের পতাকা হাতে হাঁটছিল জনা কয়েক বালক-বালিকা। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি (আনন্দবাজার সেটির সত্যতা যাচাই করেনি)।
পঞ্চায়েত ভোটের মরসুমে নানা এলাকায় বিভিন্ন দলকে এ ভাবে নাবালক-নাবালিকাদের প্রচারে শামিল করতে দেখা যাচ্ছে। সেই ছবি সামনে এলে বাধছে রাজনৈতিক তরজা। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় মিছিলে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গিয়েছে ১৭ বছরের কিশোরের। বহু ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলি একে অন্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে নড়ে বসেছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘‘যে সব জায়গা থেকে এমন ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে, সেগুলি আমরা নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি।’’
নানা পক্ষের নেতারা বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের দাবি, ব্যান্ড পার্টি, ঢাক-ঢোল নিয়ে প্রচার চলছে। তা দেখে খুদেরা উৎসাহে হাজির হচ্ছে। দলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, ‘‘অনেক সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটরাও মিছিলে চলে আসে। এ নিয়ে অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে।’’ একই রকম দাবি কাটোয়ার সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রামে যে-কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে ছোটরা যোগ দেয়। বাবা-মায়ের সঙ্গে তাই কেউ হয়তো চলে এসেছে।’’
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তথা শিশু চিকিৎসক কৌস্তুভ নায়েক বলেন, ‘‘নির্বাচনের কোনও প্রক্রিয়ায় নাবালকদের জড়ানো অনুচিত। হিংসা, হামলার মতো কোনও ঘটনা তাদের সামনে ঘটে গেলে দীর্ঘস্থায়ী, বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।’’ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy