বিজেপি এবং তৃণমূলের স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত বিধানসভা। নিজস্ব চিত্র।
স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগানে বৃহস্পতিবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। তৃণমূলের পরিষদীয় দলের সদস্যেরা এবং বিরোধী বিজেপির বিধায়কেরা— দু’পক্ষই থালা, কাঁসর বাজিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির নীচে তিন দিন ধরে ধর্নায় বসছেন পরিষদীয় দলের সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার ছিল সেই ধর্না কর্মসূচির তৃতীয় দিন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে থালা বাজিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর বিজেপির সবাই চোর’। ‘বাপ চোর। বেটা চোর’। বিধানসভার অধিবেশন শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের দফতরের কাজ সেরে সেই সময় বিধানসভা থেকে বেরোচ্ছিলেন। তখনই ধর্নাস্থল থেকে স্লোগান ওঠে ‘বাপ চোর বেটা চোর, বিজেপির সবাই চোর’।
এই স্লোগান শুনেই দাঁড়িয়ে যান বিরোধী দলনেতা। তিনি তখন বিজেপি বিধায়কদেরও পাল্টা ধর্নায় বসার নির্দেশ দেন। তার পরই তাঁরা থালা, হাতা নিয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে পাল্টা বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়কেরা। বিধানসভার গা়ড়িবারান্দায় থালা, কাঁসর বাজিয়ে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
বুধবারও বিধানসভা চত্বর দু’পক্ষের বিক্ষোভ এবং স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দিনের অধিবেশন শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকর মূর্তির নীচে তৃণমূল পরিষদীয় দলের ধর্না কর্মসূচিতে। তাঁর এক পাশে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অন্য পাশে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পালা করে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘‘অমিত চোর! মোদী চোর! বিজেপির সবাই চোর।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ধর্মতলার সভা শেষে বিধানসভায় আসেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে বিধানসভা চত্বরে ঢোকেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বিধানসভার দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢোকার সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। শুভেন্দু চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘‘চাকরি চোর! রেশন চোর! শিক্ষা চোর! বালি চোর! কয়লা চোর!’’ সেই ‘চোর সরকার’-এর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভায় নিজের দফতরে চলে যান বিরোধী দলনেতা।
তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিধানসভার গাড়িবারান্দার সিঁড়িতে জমায়েত করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। সঙ্গে স্লোগান দিতে শুরু করেন, ‘‘পিসি চোর! ভাইপো চোর! তৃণমূলের সবাই চোর!’’ কিছু সময় পরে সেই বিক্ষোভে যোগ দেন শুভেন্দু। এর পর দুই শিবিরের বিধায়কেরা পরস্পরকে ‘চোর’ সম্বোধন করে তুমুল স্লোগান দিতে থাকেন। এ ভাবে প্রায় আধ ঘণ্টা স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে সরগরম থাকে বিধানসভার চত্বর। বুধবারের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবারেও ‘চোর’ স্লোগানে গমগম করল বিধানসভা চত্বর।কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে সে জন্য ডিসি নর্থ দীনেশ কুমার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এস্টাব্লিশমেন্ট) মীরাজ খালিদ এবং ডিসি (এনফোর্সমেন্ট) রাহুল দে এবং পুলিশের একটি দল বিধানসভায় যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy