ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি। ছবি: সায়নী মুখোপাধ্যায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিপার রাত ১২টা নাগাদ এক বুলেটিনে জানায়, আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ। কোথাও সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই ডানলপ, বরাহনগর, দমদম পার্ক, শ্যামবাজার, বেহালা, বাগুইআটি, এন্টালি, বিধাননগর, কালিকাপুর, সল্টলেক, নিউ টাউন, যাদবপুর, গড়িয়া, পাটুলি, গল্ফগ্রিন, ঢাকুরিয়া, সেলিমপুর এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হুগলির বৈদ্যবাটি এলাকায় প্রবল বজ্রপাতের কারণে নেট পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে চন্দননগরেও। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী কয়েক দিন ভ্যাপসা গরমের দরুণ নাজেহাল পরিস্থিতি ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেও আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল বেশি। সেই জন্য অস্বস্তি ভাব ছিল বেশি। দক্ষিণে বৃষ্টির পূর্বাভাস না দিলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কথা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলার কিছু অংশে আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।
রাত ১২টা নাগাদ আবহাওয়া দফতর জানায়, আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতের ওই বুলেটিনে হাওয়া অফিস জানায়, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমানের কিছু অংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণে অবশ্য ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মূলত এর জেরেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। আবহাওয়া দফতর বুধবার বুলেটিনে জানিয়েছিল, শনিবার এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে ওই দু’দিনই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে দু’দিনই হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy