—প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক আগে, মাধ্যমিকের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরে বাবা। ভরসা পেয়েছিল মেয়েটি। মা বেশির ভাগ সময় কাজের জন্য বাইরে থাকেন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া বোনকে সামলে, ঘরদোরের কাজ করে মেয়েটি মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু বাবা বাড়ি ফেরার পরে তার পৃথিবীটাই বদলে যায়। অভিযোগ, মাসখানেক ধরে একাধিক বার ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তার বোনকে ধর্ষণ করেছে বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে লোকটিকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া জেলার পুলিশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়েনি ওই পরীক্ষার্থী। শুক্রবার সে বসেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়।
পুলিশ জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন আদালতে ধৃতের ছোট মেয়ে গোপন জবানবন্দি দেয়। আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত প্রৌঢ়ের দাবি, নেশার ঘোরে সে অন্যায় করে ফেলেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় পেশায় ডেকরেটর কর্মী। অভিযোগ, বাড়ি ফিরে স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে সে মেয়েদের উপরে নির্যাতন শুরু করে। লোকলজ্জার ভয়ে দুই মেয়ে বাবার এই কুকীর্তির কথা কাউকে জানাতে সাহস করেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও প্রবল ধাক্কা লাগে বড় মেয়ের। তবে, সম্প্রতি এক প্রতিবেশী বিষয়টি জেনে ফেলেন। তিনিই বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে।
বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পরই মেয়ে দু’টির মা অন্যত্র চলে যান। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এ সব দেখেও পরীক্ষায় বসবে বলেই স্থির করে। বাড়িতে কেউ না-থাকায় পুলিশ মেয়ে দু’টিকে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের হস্তক্ষেপে মেয়ে দু’টির ঠাঁই হয় হোমে। সেখান থেকেই হোম কর্তৃপক্ষ বড় মেয়েটির পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy