গরু পাচার মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের হাতে ধৃত, গরু পাচার মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের তিন ভাগ্নের বিরুদ্ধে সিআইডি-র আবেদনের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। শুক্রবার অভিযুক্ত ওই তিন ভাগ্নে— জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবির ও মেহেদি হাসানের আরও একটি সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সম্পত্তি আসলে বিশাল জমির উপরে তৈরি একটি গুদাম, যেখান থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গমও যেত বাংলাদেশে।
সিআইডি সূত্রের খবর, এ দিন তারা মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার একটি গুদামে হানা দেয়। তদন্তকারীদের দাবি, এনামুলের তিন ভাগ্নেই ওই গুদামের মালিক। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেই গুদামে তল্লাশি চালানোর পরে সেটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, আট বিঘা জমির উপরে গড়ে তোলা ওই গুদামে গম থেকে শুরু করে পাথরকুচি পর্যন্ত নানান পণ্য মজুত করা হত। পরে তা লরিতে করে মেহেদিপুর সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হত বাংলাদেশে।
সিআইডি জানিয়েছে, এ দিন ওই গুদামের বিভিন্ন নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সেখানকার কর্মীদের। এর আগেই জাহাঙ্গির, হুমায়ুন ও মেহেদির কলকাতার অফিস এবং মুর্শিদাবাদের চালকল, হোটেলে অভিযান চালিয়ে সেগুলি সিল করে দিয়েছে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের অফিস ও গুদাম থেকে এক ডজনের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেই সব অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগই রয়েছে তিন ভাগ্নের সংস্থা ‘জেএইচএম’-এর নামে। সব অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছেন তদন্তকারীর। বাজেয়াপ্ত করা নথি পরীক্ষার পরে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, এনামুলের ভাগ্নেরা তাঁদের সংস্থার টাকা বিদেশে লগ্নি করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অফিসও সরিয়ে ফেলেছেন বিদেশে। গোয়েন্দারা জানান, ওই তিন অভিযুক্তই পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিআইডির একাংশ জানিয়েছে, যে-টাকা বিদেশে সরানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তার বেশির ভাগই গরু পাচারের টাকা বলে তাঁদের সন্দেহ। তাই এনামুল বা তাঁর তিন ভাগ্নেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি এনামুলকে সেখানে গিয়েই জেরা করা হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে সিআইডি। প্রয়োজনে তাঁকে সিআইডি-র হেফাজতে নেওয়ার জন্যও আবেদন করবেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy