Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Waiver Scheme of Transport Department

বকেয়া কর আদায়ে ছাড় দিয়েও সুফল মেলেনি, আয়ের লক্ষ্যমাত্রা না পূরণে চিন্তায় পরিবহণ দফতর

অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে, ছাড় দিয়ে কোনও সুফল মেলেনি। ছাড়ের কথা ঘোষণা করে যেমন আয়ের আশা করা হয়েছিল, সেই অনুযায়ী ফল মেলেনি বলেই পরবিহণ দফতর সূত্রের খবর।

The transport department is concerned that even giving a discount on the collection of outstanding taxes there is no benefit

বকেয়ার করে ছাড় ঘোষণা করেও সুফল মেলেনি পরিবহণ দফতরের। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৫
Share: Save:

বকেয়ার করে ছাড় ঘোষণা করেছিল পরিবহণ দফতর। কিন্তু অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে, সেই ছাড় দিয়েও সুফল মেলেনি। ছাড়ের কথা ঘোষণা করে যেমন আয়ের আশা করা হয়েছিল, সেই অনুযায়ী ফল মেলেনি বলেই পরবিহণ দফতর সূত্রে খবর।

১ জানুয়ারি থেকে পরিবহণ দফতর চালু করে ওয়েভার স্কিম। এই নতুন স্কিমে বলা হয়, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া কর মেটানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন গাড়ির মালিকেরা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বকেয়া মিটিয়ে দিলে জরিমানার উপর ছাড় মিলবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ১-৩০ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া সিএফ এবং পারমিট ফি মিটিয়ে দিলেও ১০০ শতাংশ জরিমানা মকুব করা হবে। কিন্তু, নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট দুই খাতের বকেয়া মেটালে অবশ্য ১০০ শতাংশ ছাড় মিলবে না। সে ক্ষেত্রে জরিমানার ৮০ শতাংশ মকুব করা হবে। পরিবহণ সংগঠনগুলির দাবি মেনে, এই সময়সীমা ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর পরিবহণ দফতরের মনে হয়েছিল, এই খাতে পরিবহণ দফতরের বকেয়া থাকা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সহজেই রাজস্ব হিসাবে আসবে।

কিন্তু অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ছোট পণ্যবাহী গাড়ি, ক্যাব, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়িগুলি ছাড়ের সুবিধা নেয়নি। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘তথ্য খতিয়ে দেখা গিয়েছে, যে গাড়িগুলির বয়স ১০ বছরের বেশি, সেই গাড়িগুলিই মূলত এই সুবিধা নিতে চায়নি। যা পরিবহণ দফতরের হিসাবের মধ্যেই ধরা ছিল। তাই ওয়েভার স্কিমে পরিবহণ দফতর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের কথা ভেবেছিল, তা পাওয়া সম্ভব হয়নি।’’

পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বেসরকারি বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, স্কুলের পুলকার ওয়েভার স্কিমের সুবিধা নিয়েছে। তাতেই জানুয়ারি মাসে ১৬৭ কোটি টাকার কিছু বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। তাই পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, শেষ অর্থবর্ষের তিন মাসের হিসাব এলেও, তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE